নদিয়ায় তৃণমূলের ভোট সেনাপতি হলেন অনুব্রত মন্ডল।—ফাইল চিত্র।
চৈতন্যদেবের নদিয়ায় তৃণমূলের ভোট সেনাপতি হলেন বীরভূমের কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মন্ডল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার কৃষ্ণনগরে জেলা নেতাদের সঙ্গে দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানান। বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত বৈঠক শুরুর আগেই নদিয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন।
নদিয়ায় দলের পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘পার্থদার অনেক দায়িত্ব। তিনি মন্ত্রী, দলের মুখপাত্র। তাঁর অনেক কাজ। কেষ্ট এখন থেকে এই জেলায় ঘুরবে। অভিষেক আছে, বাকিটা দেখে নেবে।’’ আগামী ১৪ তারিখে তেহট্ট মহকুমা থেকেই এই সাংগঠনিক কাজ শুরু করবেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।
নদিয়ার দুটি লোকসভা আসন রাণাঘাট ও কৃষ্ণনগর তৃণমূলের হাতেই রয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটে কিছু জায়গায় বিজেপির প্রভাব নজরে আসায় দুটি আসন নিয়েই বিশেষ সতর্ক তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই জেলা সরকারি কর্মসূচিতে নদিয়ায় এসে এদিন সার্কিট হাউসে অঞ্চল সভাপতিসহ জেলা সব স্তরের সাংগঠনিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনর আগেই ওই বৈঠকে অঞ্চল সভাপতিদের কাছ থেকে বুথ স্তরে সাংগঠনিক প্রস্তুতির খোঁজ নিতে শুরু করেন অনুব্রত। জানতে চান কোথায়, কোন কমিটি কত বৈঠক করেন। নিয়মিত সংগঠনের ফাঁকফোকর দেখা হয় কি না ইত্যাদি। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, পার্থবাবুর পাশাপাশি যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন জেলার দায়িত্বে আছেন, তেমন থাকবেন।
এদিনের বৈঠকে গোষ্ঠীবিরোধ ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত ও জেলার মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পাঁচ-ছয় জন বিধায়ককেও সাংগঠনিক কাজ ও তৎপরতা বাড়াতে বলেন।