পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর তাগিদ বাড়ছে তৃণমূলে। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকেও আরও এক বার সেই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলের পুরনো কর্মীদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার কথা আগে বহু বার বলেছেন মমতা। এ দিন আউশগ্রামের শিবদায় আয়োজিত বৈঠকে তিনি সরাসরিই পুরনো নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আর পাঁচটা জেলার মতো বর্ধমানেও দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল। গত বিধানসভা ভোটের আগে ভাতারে তৎকালীন বিধায়ক বনমালীবাবু ও দলের নেতা মানগোবিন্দ অধিকারীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। সেই কারণে তাঁদের কাউকেই টিকিট দেননি শীর্ষ নেতৃত্ব। এ দিন কিন্তু মমতা ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলকে বলেন, ‘‘বনমালীদা আমাদের অনেক পুরনো লোক। তাঁকে মাথায় রেখে কাজ করবেন।’’
মেমারিতেও তৎকালীন বিধায়ক আবুল হাসেম মণ্ডলকে ফের টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছিল মেমারির পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ীর গোষ্ঠী। প্রার্থী করা হয় নার্গিস বেগমকে। এখন আবার স্বপনবাবু ও নার্গিসের অনুগামীদের বিবাদ বাধে মাঝে-মধ্যেই। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন স্বপনবাবুকে বলেন, ‘‘আবুল সাহেবকে ডেকে নিয়ে কাজ করো? উনি কিন্তু খুব সিনিয়র লোক। ওঁকে বলবে, আমি খোঁজ নিয়েছি।’’
মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর দ্বন্দ্বও দলের মাথাব্যথা। এ দিনই বিকেলে জামালপুর ও পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। এই দুই জায়গাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল বলে খবর।