Planning Commission

সুভাষ-মন্ত্রে বঙ্গে যোজনা কমিশন

রাজ্যের বক্তব্য, যোজনা কমিশনের সময়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা এবং বরাদ্দ ঠিক হত। নীতি আয়োগের সময়ে হয় না। তাই রাজ্য নিজস্ব যোজনা কমিশন গড়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে তা পরিচালনা করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:১৮
Share:

ফাইল চিত্র।

বাংলার নিজস্ব যোজনা কমিশন তৈরির করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বছর ধরে সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের পরিকল্পনা সংক্রান্ত বৈঠকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন, সুভাষচন্দ্রই যোজনা কমিশনের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই কমিশন বাতিল করে দিয়ে নীতি আয়োগ গড়েছে কেন্দ্র। সুভাষচন্দ্রের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজ্যের নিজস্ব যোজনা কমিশন গড়া হবে।

Advertisement

রাজ্যের বক্তব্য, যোজনা কমিশনের সময়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা এবং বরাদ্দ ঠিক হত। নীতি আয়োগের সময়ে হয় না। তাই রাজ্য নিজস্ব যোজনা কমিশন গড়ে আধুনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে তা পরিচালনা করবে। অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকতে অমর্ত্যবাবুর বার্তা, ঐক্য-সাম্যের পক্ষে ছিলেন সুভাষচন্দ্র। সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি পিছিয়ে পড়া, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করেছেন। সেই আদর্শই নয়া প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গ-গরিমাকে অস্ত্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর কৌশল নিয়েছেন মমতা। এই পরিকল্পনা তার সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের জন্মদিনে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে রেড রোড পর্যন্ত মিছিল হবে। বেলা সওয়া ১২টায় তাঁর জন্মমুহূর্তে বাজবে সাইরেন। সুভাষ-ট্যাবলোর শোভাযাত্রা হবে। আজাদ হিন্দের নামে একটি ব্যান্ড চিহ্নিত করবে কলকাতা পুলিশ। ১৫ অগস্টের প্যারেড উৎসর্গ করা হবে সুভাষচন্দ্রের নামে। ‘‘রাজ্য, দেশ-বিদেশের বাঙালি-সহ সকলের কাছে আবেদন, ২৩ জানুয়ারি ১২টা ১৫ মিনিটে শাঁখ বাজান,’’ আর্জি মমতার।

Advertisement

রাজারহাটে সুভাষ স্মৃতিসৌধ এবং প্রদর্শশালা গড়বে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কারও থেকে টাকা চাইব না। আমরাই করব।’’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে সুভাষচন্দ্রের নামে, তার যোগ থাকবে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের সঙ্গে। এনসিসি-র মতো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জয়হিন্দ বাহিনী’ গড়বে রাজ্য। তাদের বিপর্যয় মোকাবিলা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি ‘দেশনায়ক দিবস’ পালন করবে সরকার। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, দলিত, রাজবংশী ও পাহাড়ের ভাষায় সুভাষ সংক্রান্ত রচনা অনুবাদ করা হবে। সুগত বসু, সুমন্ত্র বসুকে নিয়ে গড়া কমিটি এতে সহযোগিতা করবে। এক বছর আঁকা, বিতর্ক, প্রদর্শনী হবে রাজ্য জুড়ে। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন অভিজিৎবাবু, সুগতবাবু, সুমন্ত্রবাবু, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, কলকাতা, যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন