Mamata Banerjee

স্বাস্থ্যে বিরোধীরাও টাকা দিন: মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে নতুন কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ হলেও পুরনোগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৮
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

কয়েক দিন আগে গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন ঠেকানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাতে বিরোধী শিবিরকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর সেচমন্ত্রী। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে অর্থসাহায্য করার জন্য শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে আবেদন জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী হতে পারে সেই অর্থসাহায্যের পরিমাণ, তা-ও অনেকটা ঠিক করে দিলেন তিনি।

Advertisement

রাজ্যে নতুন কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ হলেও পুরনোগুলির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তখনই মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন, বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদেরা তাঁদের তহবিল থেকে ১০ লক্ষ করে টাকা দিন। তাতে আরও উন্নয়ন করা হবে। তখন বিরোধীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের থেকে সাহায্য নেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন নেব না? আপনারা দিন। স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি লিখুন।’’

সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। মমতা জানান, দালালরাজ সমর্থন করা হবে না। পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে। দালাল দেখলেই ধরতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘কোন হাসপাতালে কী হচ্ছে, স্বাস্থ্য দফতরকেও সবটা নজরে রাখতে হবে।’’ প্রতিটি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার কথা বলেন তিনি। সুমনের প্রশ্ন, আলিপুরদুয়ারের হাসপাতালে আয়া কী ভাবে ইঞ্জেকশন দিতে পারেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেক আয়াই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে অভ্যস্ত। কিন্তু আয়ারা ইঞ্জেকশন দিতে অথরাইজ়ড কি না, তা জানতে হবে।’’ নবান্নের খবর, বিষয়টি জানার পরেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অভিযোগ ঠিক নয়। বালুরঘাট হাসপাতালে এক শয্যায় দু’জন রোগী রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। মমতা বলেন, ‘‘প্রতিনিধিরা গভীর ভাবে চিন্তা করুন। রোগী ৮০০, শয্যা ৪০০। কিন্তু রোগী এলে কি ফিরিয়ে দেব? ৪০ হাজার শয্যা বাড়িয়েছি। আরও বাড়বে।’’ স্বাস্থ্য সূত্রের খবর, জেলায় খোঁজ নিয়ে নবান্ন জেনেছে, বালুরঘাট জেলা এবং সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কোথাও এক শয্যায় দু’জন রোগী নেই।

Advertisement

চন্দননগর ও হাওড়ার মাঝখানে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা জানানোর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘‘অনেক বেসরকারি হাসপাতাল আগে টাকা চায়, পরে রোগী ভর্তি করে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে যান। যদি কেউ ভর্তি না-করে, রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন