ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজয়া সম্মিলনী। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠন গুছিয়ে নেওয়ার সূচনা করতে বুধবার নজরুল মঞ্চের বৈঠককে কাজে লাগাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবে পঞ্চায়েত ভোট তিনি করতে চান, তা নিয়ে এখনও নির্বাচন কমিশনকে কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। দলের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতা-কর্মীর সামনে তা নিয়েও তিনি ইঙ্গিত দিতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
তাঁর ‘প্রাক্তন’ সেনাপতি মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পরে এটাই তৃণমূলের প্রথম বৈঠক। ফলে এ বারের বৈঠকে মুকুলের তৃণমূল-ত্যাগ নিয়ে নেত্রী কিছু বাড়তি বার্তা দেন কি না, তা নিয়েও দলের-অন্দরে কৌতূহল রয়েছে। মুকুলের ঘনিষ্ঠ কেউ মুকুল-পন্থী হচ্ছেন কি না, ওই বৈঠকের হাজিরা থেকে তার আঁচ পেতে চায় দল। সংগঠনে কোথাও কোনও ‘ফাঁক’ যাতে না থাকে, সে জন্য সর্বস্তরের পদাধিকারীরা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত অন্যদেরও ওই বৈঠকে ডেকে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এমনকী, কংগ্রেস ও সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ‘দলবদলু’ বিধায়কদেরও এই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। দলীয় নেতাদের নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আমন্ত্রিতের সংখ্যা বাড়লেও এটা করতে হবে।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন ভোটের ফলাফলে বিজেপির দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার লক্ষণ স্পষ্ট। তার সঙ্গে মুকুলের দলত্যাগ বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে বলে অনেকের ধারণা। সেই সব দিক বিবেচনা করেই এই বৈঠকের গুরুত্ব কিছু বেশি। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সিংহভাগই এখন শাসক দলের অধীনে। আগামী পঞ্চায়েতে ১০০ শতাংশই জিতে আসতে ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন নেত্রী। এ বার সেই লক্ষ্য পূরণে কী ভাবে সাংগঠনিক শক্তি আরও বাড়াতে হবে, কাকে কোথায় দায়িত্ব দেওয়া হবে, মমতা বৈঠকে তার দিক্নির্দেশ করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।