মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে ফের জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করল রাজ্য। শুক্রবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ফোন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার নির্দেশ দেন প্রশাসনিক কর্তাদের ও চার মন্ত্রীকে। হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরে পুলক রায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুঁইয়া, হুগলির আরামবাগ, গোঘাটে ফিরহাদ হাকিম ও বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার পরিস্থিতির উপরে নজরদারির দায়িত্ব মলয় ঘটককে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় বৃহস্পতিবার রাতে শিলাবতীর জলে ভেসেছে বহু গ্রাম। তলিয়ে গিয়েছেন এক যুবক। গড়বেতায় জল নামতে শুরু করলেও, ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার-সহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ দিন সকাল থেকে ঘাটাল শহরে জল ঢোকে। শহরবাসীর প্রশ্ন, গ্রীষ্মের শুরু থেকেই যখন এ বার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি হয়েছিল, এখন এ অবস্থা কেন? এ দিন চন্দ্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাওয়া সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এক বিষয়। জলমগ্ন পরিস্থিতি অন্য বিষয়। এত বড় কাজ করতে সময় লাগে।”
বাঁকুড়ার বেশির ভাগ এলাকা থেকেই জল নেমেছে। এ দিন রাজ্যের নগরোন্নয়নসচিব মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি, পূর্তসচিব অন্তরা আচার্য ও উদ্যানপালন সচিব স্মারকী মহাপাত্র জেলায় পরিদর্শনে যান। এ দিন বিকেলে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৪৩,৭৫০ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হয়।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে