একসারিতে: রাজ্যসভার ভোটে চার তৃণমূল প্রার্থী (বাঁ দিক থেকে) শান্তনু সেন, আবির বিশ্বাস, নাদিমুল হক ও শুভাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নজরুল মঞ্চে। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
মুখের চমক নয়। রাজ্যসভার প্রার্থী বাছাইয়ে সাংগঠনিক ভূমিকাকেই গুরুত্ব দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলের চার আসনের তিনটিতেই তিনি বেছে নিলেন সংগঠনের তিন তরুণ মুখ শুভাশিস চক্রবর্তী, শান্তনু সেন ও আবির বিশ্বাসকে। অন্য আসনটিতে দ্বিতীয়বারের জন্য মনোনয়ন পেলেন নাদিমুল হক।
আগে রাজ্যসভার নির্বাচনে অনেকবার মমতা দলের বাইরে থেকে বিশিষ্টজন বা অন্য পেশার লোকজনকে প্রার্থী করেছেন। তবে তাঁদের অনেকেই দলের পক্ষে বিভিন্ন অস্বস্তি ও বিড়ম্বনার কারণ হয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তৃণমূলনেত্রী বুঝেছেন প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাজ করে উঠে আসা দলীয় কর্মীদের বেছে নেওয়াই শ্রেয়। কারণ সে ক্ষেত্রে দলের নিয়ন্ত্রণ থাকে তাঁদের উপর। আর প্রার্থীরাও দলীয় শৃঙ্খলাকে মেনে চলতে জানেন। সংগঠনের কাজ করে আসা জনপ্রতিনিধিরা দলের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকেন। তাতে বিভিন্ন বিষয়ে বুঝে পা ফেলতে পারেন তাঁরা।
সেই অঙ্কেই যে শুভাশিস, শান্তনু ও আবিরকে প্রার্থী করা হল, মমতা নিজেই শুক্রবার তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। এদিন নজরুল মঞ্চে দলের কোর কমিটির বৈঠকে প্রার্থী ঘোষণা করে মমতা বলেন, ‘‘দলের পতাকা নিয়ে যাঁরা কাজ করেছেন, এবার তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে।’’ শুভাশিস বরাবরই মমতার ঘনিষ্ঠ। স্বচ্ছভাবমূর্তির এই নেতা দলনেত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবেও কাজ করেছেন। ছাত্র রাজনীতি ছাড়াও শ্রমিক সংগঠনে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পেশায় চিকিৎসক শান্তনু তৃণমূলের অন্দরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বহুদিন। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও তাঁর নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে। তাছাড়া যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাঁর। প্রয়াত সাংসদ আনন্দমোহন বিশ্বাসের ছেলে আবির ২০১১ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত নির্বাচনে হেরে গেলেও যুব সংগঠনে কাজ করেন তিনি। তফসিলি হিসাবেও আবিরের মনোনয়ন গুরুত্ব পেয়েছে।
তৃণমূল পঞ্চম আসনে কংগ্রেসকে সমর্থন করায় বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে সিপিএম। তাই সোজা অঙ্কে হার জেনেও শুধু রাজনৈতিক কারণেই রবীন দেবকে প্রার্থী করেছে বামেরা।