মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের সাহায্যের জন্য বসে থাকে না। রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগেই পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। রবিবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পরে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বুধবারই কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিন পর, রবিবার আবার তিনি উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন। আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভা করার কথা তাঁর।
রবিবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে একটা রিভিউ মিটিং করতে হবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। ১ লক্ষ ২০ হাজার করে বরাদ্দ করা হয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, দুর্যোগকবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাতে মানুষের অসুবিধা হবে না। রোহিণী এলাকাতে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মিরিকে যে সেতুটি ভেঙে পড়েছে, সেটি আর ৭-৮ দিনে মেরামত হয়ে যাবে। মমতা বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে যাঁরা ভাল কাজ করেছেন, তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হবে। আমায় একটা রিভিউ মিটিংও করতে হবে। বিপর্যয়ে অনেকের নথিপত্র নষ্ট হয়েছে। সে সব করিয়ে দিতে হবে। পাড়ায় সমাধানে সে ব্যবস্থা করা হবে।’’
রবিবার সাড়ে ৩টে নাগাদ বাগডোগরায় পৌঁছোন মমতা। সেখানে তিনি জানান, রবিবার সুহাসিনী গ্রামে যাবেন। সোমবার যাওয়ার কথা নাগরাকাটায়। নাগরাকাটার বামনডাঙাতেই গত সপ্তাহে ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। খগেন রক্তাক্তও হয়েছিলেন।