ঢাক ঢোল পিটিয়ে করা নরেন্দ্র মোদীর জিএসটি-উৎসব বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির আমন্ত্রণে সিপিএমের পক্ষে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। আর সংসদের সেন্ট্রাল হলে শুক্রবার মধ্যরাতে এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকা নিয়ে এখনও দোলাচলে কংগ্রেস।
মমতা আজ জানিয়ে দিয়েছেন, ৩০ জুন মধ্যরাতে জিএসটি চালুর অনুষ্ঠানে দলের সাংসদরা কেউ থাকবেন না। তাঁর যুক্তি, রাজ্যের কথা না-শুনে তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালুর ফলে ফের একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, যার পুরো দায় কেন্দ্রের। তার প্রতিবাদেই তৃণমূলের এই বয়কট। তবে, সময়ে জিএসটি চালুর জন্য রাজ্য সরকার অধ্যাদেশ জারি করার পরে এখন আবার আপত্তি করছে কেন, প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। ঘনিষ্ঠ মহলে মমতার অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, অর্ডিন্যান্স জারি করা না হলে রাজ্যই সমস্যায় পড়ত।
মমতা বয়কট ঘোষণার পরে কংগ্রেসও চাপে। কারণ ওই অনুষ্ঠানে থাকা না-থাকা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনও দ্বিধায়। মনমোহন সিংহ ও পি চিদম্বরম বয়কটের বিরুদ্ধে। তাঁদের যুক্তি, ইউপিএ সরকারই জিএসটি-কে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া মনমোহনকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। থাকছেন প্রণববাবুও।
আরও পড়ুন: বেতন বন্ধ পাহাড়ে, কড়া রাজ্য
আবার কংগ্রেস নেতাদের একটা বড় অংশ বলছেন, মনমোহনকে ডাকা হলেও তাঁকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমন্ত্রণপত্রেও তাঁর নাম নেই। প্রণববাবুকে সুযোগ না দিয়ে প্রচারের সবটুকু আলো টেনে নিতে মোদী নিজেই জিএসটি-র সুচনা করবেন। তাই সেখানে না যাওয়াটাই কর্তব্য।
আজ রাষ্ট্রপতি ভোটে মীরা কুমারের মনোনয়ন জমার পরে সনিয়া গাঁধী বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়। অধিকাংশ বিরোধী দলেরই মনোভাব হল, এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার বয়কটের কথা বলে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ারও দরকার নেই। ঠিক হয়েছে, গুলাম নবি আজাদ সব দলের সঙ্গে কথা বলে সকলের মতামত সনিয়াকে জানাবেন। গুলাম নবি বলেন, ‘‘আমরা বৃহস্পতিবার অবস্থান জানিয়ে দেব।’’
অসীমবাবু দীর্ঘদিন রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের ‘এমপাওয়ার্ড কমিটি’র চেয়ারম্যান ছিলেন। পুরনো ভূমিকা মনে রেখেই জেটলি অসীমবাবুকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মনে করেন, অসীমবাবুই উপযুক্ত ব্যক্তি।