মঞ্চে: পুরুলিয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সুজিত মাহাতো।
পরের পর উন্নয়ন বোর্ড গঠনের জেরে কিছুটা হলেও বদলেছে দার্জিলিং পাহাড়। এ বার অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে কুর্মি-মাহাতো সম্প্রদায়কে কাছে টানতে বোর্ড গঠনকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বেলকুঁড়িতে নবগঠিত দু’টি মহকুমা মানবাজার ও ঝালদার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নতুন বোর্ড গড়ার কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে অনেক মাহাতো-কুর্মি সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। মালদহেও আছেন। তাঁদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য প্রসারে ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ড গড়ার কথা ঘোষণা করছি।’’ এই বোর্ড তৈরির কথা মমতা আগে উত্তরবঙ্গে বলেছিলেন। নতুন বোর্ডের সদর দফতর পুরুলিয়ায় হবে জানাতেই হাততালির ঝড়।
পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল, নানা সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের অনেক কাজ যে ওই বোর্ডের মাধ্যমে ভালই করা যায়, সেটাও বোঝান। বছর পাঁচেক আগে মোর্চার ডাকা বন্ধ উপেক্ষা করে পাহাড়ে গিয়ে লেপচা বোর্ড গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন পাহাড়ে ১৫টি বোর্ড। তৃণমূল সূত্রের খবর, এতে লাভও হচ্ছে। গত লোকসভা ভোটে দার্জিলিং কেন্দ্রে হারলেও পাহাড়ে তাদের ভোটব্যাঙ্ক হয়েছে। বিধানসভা ভোটে পাহাড়ের তিন আসনে মোর্চা জিতলেও ব্যবধান কমে। পাহাড়ে তামাঙ্গ বোর্ডের সঞ্জয় মোক্তান বলেন, ‘‘বোর্ডের মাধ্যমে আমরা বাড়ি, রাস্তা, স্কুল তৈরি করেছি। সর্বত্রই বোর্ড গড়লে পিছিয়ে পড়া মানুষদের উপকার হবে।’’
মঞ্চের খানিকটা দূরে ছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কট্টর সমর্থক মানবাজারের ভূদেব মাহাতো, ঝালদার জিতেন মাহাতো। ষাটোর্ধব ভূদেব বলেন, ‘‘ফি বছর খরায় ত্রাণের দাবি, নলকূপ, চাষের জল নিয়ে এসডিও-কে কত যে স্মারকলিপি দিতে যেতে হয় পুরুলিয়ায়। সেই ঝামেলা তো মিটল। উপরি হিসেব পেলাম বোর্ড। মন্দ কী!’’