অভ্যর্থনা: পাহাড়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছে বসেছে ফ্লেক্স। —নিজস্ব চিত্র।
আজ, সোমবার তিন দিনের সফরে পাহাড়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় বাগডোগরা পৌঁছবেন। সেখান থেকে সোজা দার্জিলিং যাওয়ার কথা। জিটিএ-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিনয় তামাং জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ের রিচমন্ড হিলে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তাঁর কোনও কর্মসূচি নেই। মঙ্গলবার জিটিএ-র প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে রিচমন্ড হিলেই তিনি বৈঠক করবেন। বুধবার চৌরাস্তায় শিক্ষক দিবস পালন করার কথা। সেই সভা থেকেই পাহাড়ের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে। সে দিনই ফিরবেন উত্তরকন্যায়। রাতে থাকবেন কন্যাশ্রীতে। বৃহস্পতিবার দুপুরের বিমানে কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা।
চলতি সফরে পাহাড়ের একাধিক নতুন পরিকল্পনা রুপায়নের বিষয়ে জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য গঠিত বিভিন্ন বোর্ডগুলিকে যে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেই টাকায় কী কী কাজ হয়েছে, কোন কাজের কতটা অগ্রগতি তা-ও খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিনয় বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত ফাইল তৈরি রেখেছি। কিভাবে পাহাড়ের আরও উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে বিশদে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’ চৌরাস্তার অনুষ্ঠানে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে, তা ঠিক করতে পাহাড়ের কয়েকজন শিক্ষাবিদের সঙ্গেও মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে। জিটিএ কর্তারা চাইছেন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে পাহাড় বা তরাইয়ের কাউকে বেছে নেওয়া হোক। সূত্রের খবর জিটিএ-র পক্ষ থেকে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের জন্য দু’জনের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। সেই নামগুলি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। কী কী বিষয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার খসরাও তৈরি করেছে জিটিএ। সেই বিষয়গুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত নেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে।