নির্বাচনের মুখে দলের আশু করণীয় কী? রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজের সমন্বয়ে কী বা করা উচিত শাসকদল তৃণমূলের? কীভাবে দলের অন্দরে বিভিন্ন ফাঁকফোকর এবং ক্ষোভ-অভিযোগের মোকাবিলা করতে হবে? আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভামঞ্চ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দিকনির্দেশ দিতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে মনে করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠা দিবসে ছাত্র পরিষদের এই সভা তৃণমূলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিক পঞ্জী নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে আলোড়ন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ফের শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। সেই প্রেক্ষাপটে এদিনের সমাবেশে তিনি কী বার্তা দেন, দল সেদিকে তাকিয়ে।
প্রতিষ্ঠা দিবসের এই কর্মসূচির সময় অবশ্য সংগঠন নিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনায় রয়েছে তৃণমূল। কারণ সাংগঠনিক ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণেই গত জুলাই মাসে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে জয়া দত্তকে সরিয়ে দিতে বলেন স্বয়ং দলনেত্রী। তারপর থেকে ‘উপযুক্ত’ বিকল্প না মেলায় ছাত্র পরিষদের সর্বোচ্চ পদ কার্যত শূন্যই রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিও পালিত হচ্ছে মূলত যুব কংগ্রেসের ব্যবস্থাপনায়। যার শীর্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ছাত্র সংগঠনে কাজকর্ম দেখভাল করছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ পদ নিয়ে মমতা কিছু বলেন কি না আগ্রহ রয়েছে তা নিয়েও।