ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের আমেজ বিশ্ব শিল্প সম্মেলন পর্যন্ত টানতে চায় রাজ্য

উপলক্ষ, পার্ক স্ট্রিটে ‘কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল’। কিন্তু সেই আমেজটা আগামী বছর, আসন্ন গ্লোবাল বিজনেস সামিট বা বিশ্ব শিল্প সম্মেলনেও ছড়িয়ে দিতে চাইছে মমতা সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৫ ২০:২৯
Share:

উপলক্ষ, পার্ক স্ট্রিটে ‘কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল’। কিন্তু সেই আমেজটা আগামী বছর, আসন্ন গ্লোবাল বিজনেস সামিট বা বিশ্ব শিল্প সম্মেলনেও ছড়িয়ে দিতে চাইছে মমতা সরকার।

Advertisement

বা বলা ভাল, বাংলার শিল্পবন্ধু ভাবমূর্তি গড়ার পথেও শহরের শীত-পার্বনের রংচঙে সাজে সওয়ার হচ্ছে কলকাতা।

শহরের উজ্জ্বল মুখ তুলে ধরতে পার্ক স্ট্রিটের জমকালো আলোর সাজ এ বারই আরও ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধু পার্ক স্ট্রিট নয়। বড়দিন-নতুন বছরের উৎসব উপলক্ষে আলোর সাজ এ বার সেন্ট পল্‌স ক্যাথিড্রাল থেকে পার্ক স্ট্রিট ছুঁয়ে মল্লিকবাজারের মোড় অবধি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। মাঝ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও থাকবে আলোর সাজ।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা। পর্যটন দফতরের উদ্যোগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি অবধি শহরের শীত পার্বনের পাড়া ঝলমল করবে আলোর ঝালরে। পার্ক স্ট্রিট উৎসব অবশ্য চুকে যাবে, ২ জানুয়ারি। কিন্তু তার পরেও শহরের আলোর সাজ খোলা হবে না। কারণ, এর মধ্যে ২০১৬-র ৭-৯ জানুয়ারি, বসবে বিশ্ব শিল্প সম্মেলনের আসর। উৎসব আয়োজনের সঙ্গে জড়িত সরকার-ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে মনে করা হচ্ছে, কলকাতার বিদেশি অতিথিদের সামনে শহরের ইমেজ ব্র্যান্ডিংয়েও কাজে আসবে পার্ক স্ট্রিট এলাকার আলোর সাজ।

শহরের এই আলোর সাজের জন্য বাজেট অবশ্য আধ কোটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে বড়দিন-নতুন বছর উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া-গানবাজনার মেলার পৃষ্ঠপোষক মিলেছে। সরকারি কর্তাদের আশা, ভবিষ্যতে পুরো উৎসবটারই ‘স্পনসর’ জোগাড় করার চেষ্টা চলছে।

জনৈক সরকারি মুখপাত্রের কথায়, ‘‘এ দেশে আর কোথাও বড়দিন-নতুন বছর উপলক্ষে এমন রঙিন সরকারি উৎসব হয় না। প্রথম বিশ্বের বিদেশি অতিথিদের কারও কারও কলকাতার এই উৎসবের মেজাজ দেখে নিজের দেশের কথা মনে পড়বে।’’ ‘‘শুধু তাই নয়, এ উৎসব কলকাতার পাঁচমিশেলি বা কসমোপলিটান মুখও বটে।’’— বলছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এ রাজ্যে মমতা-জমানার গোড়া থেকেই এই উৎসব আয়োজনের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে আছেন।

পার্ক স্ট্রিট উৎসবে এ বারও রাজপথের দু’ধারে অন্তত ৪০টি বিপণি থাকবে, যা কলকাতার নাগরিক সমাজের বৈচিত্র্যের রং তুলে ধরবে। কয়েকটি দোকানে কলকাতার ছোট-ছোট সামাজিক গোষ্ঠী, যেমন গোয়ান বা অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। থাকবে নানা কিসিমের স্বাদু খানাপিনার আয়োজন। ক্রিসমাস ইভে অ্যালেন পার্কে রংবেরঙের গানেরও আসর বসবে। এ ছাড়া, ২০ ডিসেম্বরের রবিবাসরীয় সকালে পার্ক স্ট্রিটে দেখা যাবে এক অভিনব ক্রিসমাস প্যারেড। শহরের বিভিন্ন স্কুলকে তাতে যোগ দিতে নেমন্তন্ন করা হয়েছে।

উৎসবের ঢাকে কাঠি দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। কলকাতার আর্চবিশপ টমাস ডি’সুজা ও বিশপ অশোক বিশ্বাস-সহ কলকাতার খৃষ্টান সমাজের সবাইকে সে-দিন ডাকা হয়েছে। বড়দিনে কোনও গাড়ি চলবে না পার্ক স্ট্রিটে। সে-দিন শুধু মানুষের ঢল রাজপথে ঘুরে ঘুরে আলোর সাজ দেখবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন