নাক গলাবে না কেন্দ্র, পাহাড় সমস্যা মেটাতে হবে রাজ্যকেই, বলল বিজেপি

কিন্তু তৃণমূলের তো অভিযোগ, গোর্খা আন্দোলনের পিছনে বিজেপির উসকানি রয়েছে। যা শুনে অমিতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা কী করেছি? যা খুশি বললেই হল! আর ওঁর কথায় কী যায় আসে।’’

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৪২
Share:

অমিত শাহ।

দার্জিলিং সমস্যা নিয়ে কেন্দ্র নাক গলাবে না। সমস্যার সমাধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই করতে হবে। মঙ্গলবার কলকাতায় এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ।

Advertisement

এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতা বন্দরের অতিথিশালায় আনন্দবাজার পত্রিকাকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে অমিত পাহাড় প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এটা তো আইনশৃঙ্খলার সমস্যা। যা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। ওঁকেই (মুখ্যমন্ত্রী) এটা সামলাতে হবে।’’

কিন্তু তৃণমূলের তো অভিযোগ, গোর্খা আন্দোলনের পিছনে বিজেপির উসকানি রয়েছে। যা শুনে অমিতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা কী করেছি? যা খুশি বললেই হল! আর ওঁর কথায় কী যায় আসে।’’

Advertisement

অমিত শাহ কলকাতায় যে দিন এ কথা বলছেন, সে দিনই পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে শিলিগুড়িতে ‘উত্তরকন্যা’য় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি তুলেছে কোনও কোনও দল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অমিতকে প্রশ্ন করা হয়, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমেই কি সমাধান সূত্র মিলতে পারে?

আরও পড়ুন:বন‌্ধ উঠবে কি, সংশয় রয়েই গেল

অমিত বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছেন দ্বিপাক্ষিক ভাবেই যা করার করতে চান। তা হলে তাঁকেই যা করার করতে হবে। আমরা এ সবের মধ্যে কোনও ভাবেই নেই। ফলে সমাধান সূত্র কী হবে তা আমি কী ভাবে বলব? সমাধান সূত্র দিদির কাছেই জানতে চান।’’

কিন্তু পাহাড় পরিস্থিতির যে আশু কোনও সমাধান নেই, তা ভালই জানেন বিজেপি সভাপতি। এ রাজ্য থেকে যে দু’জন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি, তাঁর এক জন জিতেছেন পাহাড় থেকে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থন পেতেই গত লোকসভা নির্বাচনে একেবারে শেষ মুহূর্তে তাদের ইস্তাহারে গোর্খাল্যান্ডের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পরিস্থিতির ফেরে এখন অবশ্য অমিত বলছেন, পৃথক রাজ্য গঠনের দাবিতে যে আন্দোলন তা তাঁদের চোখে স্রেফ আইনশৃঙ্খলার সমস্যা।

কেন পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে হাত ধুয়ে ফেললেন বিজেপি সভাপতি?

দলের অন্দরের একাংশের ভাবনা, গত লোকসভা ভোটের সময় বিজেপির একটি আসন জেতা জরুরি ছিল। এখন দল যখন রাজ্য দখল করতে চাইছে তখন আলাদা করে পাহাড়ের তিনটি বিধানসভা আসন আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকে আবার এ-ও বলছেন যে, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা মেটাতে না পারার ব্যর্থতা মুখ্যমন্ত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দূর থেকে পরিস্থিতি নজরে রাখার কৌশলই নিয়েছেন অমিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন