অত্যাবশ্যক পরিষেবার আওতায় পড়ে ব্যাঙ্ক। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থে একটি মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। অক্ষয়কুমার ষড়ঙ্গী নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলা দায়ের করেন।
অক্ষয়বাবুর আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে যখন-তখন এক বা একাধিক দিন ব্যাঙ্কে ধর্মঘট করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলি জরুরি পরিষেবা দেয়। সেই পরিষেবা বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। পরিষেবা না-পেলে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়।
ব্যাঙ্কের সব গ্রাহক ‘নেট ব্যাঙ্কিং’ ব্যবস্থার সঙ্গে সড়গড় নন। এখনও অনেক গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের এটিএম কার্ড নেই। চিকিৎসার জন্য যে-কোনও সময়েই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার প্রয়োজন পড়তে পারে। টাকা তোলার দরকার পড়তে পারে স্কুল-কলেজে ভর্তি, মেয়ের বিয়ে, মৃতের অন্ত্যেষ্টির জন্যও। ব্যবসায়ীদেরও বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক ড্রাফট পাঠানোর প্রয়োজন হয়। ব্যাঙ্কে হুটহাট ধর্মঘট ডাকলে আমজনতা চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েন।
আইনজীবী জানান, মামলার আবেদনে এটাও বলা হয়েছে যে, ধর্মঘটে শুধু ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরাই দুর্ভোগে পড়েন না। দেশের অর্থনীতিতে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। অর্থনীতিতে প্রভাব পড়লে পরোক্ষে ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষেরও।
জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে আবেদনকারী হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে এই ধরনের ধর্মঘট নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান শ্রীকান্তবাবু।