বিসর্জনের সময়ে প্রতিমা চাপা পড়ে মৃত

এই পুজো ৭১ বছরের পুরনো। এখানে প্রতিমার কাঠামোকে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঠামোর নীচে কোনও চাকা থাকে না। বহু লোক এক সঙ্গে দড়িতে টান দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হবিবপুর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রথের মতো করে বিসর্জনের জন্য টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৪৫ ফুটের কালী প্রতিমা। প্রতিমার সেই রশি ছুঁতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। আর সেই ভিড়েই প্রতিমার নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল হারু দাস (৪৮) নামে এক ব্যক্তির। একটি মন্দিরে এই প্রতিমার পুজো হয়, তার পাশেই চায়ের দোকান রয়েছে হারুবাবুর। বুলবুলচণ্ডীরই বাবুপাড়া গ্রামে বাড়ি। তাঁর মৃত্যুর পরে কোনও মতে প্রতিমা বিসর্জন হলেও, প্রথা মতো বাজি প্রদর্শনী আর হয়নি।

Advertisement

এই পুজো ৭১ বছরের পুরনো। এখানে প্রতিমার কাঠামোকে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঠামোর নীচে কোনও চাকা থাকে না। বহু লোক এক সঙ্গে দড়িতে টান দেন। এই ভাবেই ঘষটে ঘষটে মন্দির থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি দিঘিতে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। রবিবারও হাজার হাজার লোকের ভিড়ে বিসর্জন পর্ব শুরু হয়। এ বার অবশ্য বিশৃঙ্খলাও হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময়ই, ধাক্কা খেয়ে বা পা পিছলে হারুবাবু প্রতিমার সামনে পড়ে যান। ভিড়ের মধ্যে কেউ প্রথমে তা বুঝতে পারেননি। হাজার হাজার লোকের টানে তার পরে প্রতিমার কাঠামো তাঁর উপর দিয়ে চলে যায়। পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম প্রশান্ত রায় বলেন, “শুরু থেকে এমনই নিয়মে বিসর্জন হয়ে আসছে। এ বারে কেমন করে, এমন কাণ্ড হল কিছুই বুঝতে পারছি না।” হবিবপুর থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিক বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন