State News

সচিনের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব, শ্রীঘরে মহিষাদলের যুবক

তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে উঠে আসে দেবকুমারের নাম। মুম্বই পুলিশ মহিষাদল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহিষাদল শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ১৩:২০
Share:

ধৃত যুবক দেবকুমার মাইতি। নিজস্ব চিত্র। ইনসেটে সচিনের মেয়ে সারা তেন্ডুলকর।

হাতে উল্কি করেছিলেন— ‘সারা আই লভ ইউ’। না, শুধু এতেই থেমে থাকেননি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের যুবক দেবকুমার মাইতি। সচিন তেন্ডুলকরের ফোন নম্বরও জোগাড় করে সারাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে ফেলেন! অভিযোগ অন্তত তেমনটাই।

Advertisement

অনেক দিন ধরেই নাকি দেবকুমার এ ভাবে ফোনে উত্যক্ত করতেন। এমনকী সচিনের অফিসে ফোন করে বলেছিলেন, “সারাকে বিয়ে করতে চাই। সারা শুধু আমারই। ওকে কিছুতেই ছাড়ব না।” পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ পত্রে অন্তত তেমনটাই লেখা রয়েছে। মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগে মুম্বইয়ের বান্দ্রা থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন সচিন। তার পরই তদন্তে নামে পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে উঠে আসে দেবকুমারের নাম। মুম্বই পুলিশ মহিষাদল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পর শনিবারই মহিষাদলে পৌঁছয় মুম্বই পুলিশের একটি দল। ওই দিন রাতেই আন্দুলিয়ায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় দেবকুমারকে। আজ রবিবার তাকে হলদিয়া আদালতে হাজির করানো হবে। ট্রানজিট রিমান্ডে দেবকুমারকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

আরও পড়ুন: কলকাতায় ১০.৬ ডিগ্রি, দমদমে ৯.৫, শ্রীনিকেতনে ৫.৮

অনুব্রতর ‘দুর্নীতি’, ফাঁস মুকুলের

পুলিশের কাছে জেরায় দেবকুমার স্বীকার করেছে, সচিনের ফোন নম্বর জোগাড় করে সারাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এটাও দাবি করেছেন যে, তিনি সত্যিই সারাকে ভালবাসেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেবকুমারের হাতে সারার নামে একটি উল্কি করা রয়েছে।

পাড়ায় খুব শান্ত স্বভাব ও মুখচোরা ছেলে বলেই পরিচিত দেবকুমার। আঁকার জন্য বেশ সুনামও রয়েছে তাঁর। বাবা নেই। এক ভাই ও মাকে নিয়ে আন্দুলিয়ার বাড়িতে থাকেন তিনি। কাজের জন্য মুম্বইয়ে বছর পাঁচেক ছিলেন। সেখানে থার্মোকলের কাজ করতেন। মুখচোরা ছেলেটা এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে সেটা পাড়ার কেউই কল্পনা করতে পারেননি। এক প্রতিবেশী তরুণ মাইতি বলেন, “মুখচোরা ছেলেটা এমন কাণ্ড করবে ভাবতে পারিনি।”

কেন এমনটা করতে গেল দেবকুমার? উত্তর যদিও পাওয়া যায়নি পরিবারের তরফে। তবে তাঁরা দাবি করেছেন, দেবকুমার মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় আট বছর ধরে চিকিত্সা চলছে তার। মুম্বইয়ে কাজ করার সময় বেশ কিছু নম্বর জোগাড় করেন দেবকুমার। সচিনের নম্বরও জোগাড় করেছিলেন।

হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বাড়ি থেকে দেবকুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ কিনা সে বিষয়টি এখনই বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন