Man kills Wife

স্ত্রীকে খুন করে ঘরে পুঁতে দুই কন্যাকে নিয়ে দিবানিদ্রা স্বামীর! আউশগ্রামে মেঝে খুঁড়ে দেহ উদ্ধার পুলিশের

স্ত্রীকে খুন করে যে ঘরটিতে স্বামী পুঁতে রেখেছিলেন, সেই ঘরটি তালাবন্ধ ছিল। তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। মৃতার বড় মেয়ে পুলিশকে গোটা ঘটনার বিবরণ দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৩
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দুই শিশুসন্তানের সামনেই স্ত্রীকে খুন করেছিলেন। তার পর বাড়ির মধ্যে দেহ পুঁতে রেখে সেই ঘরেই কন্যাদের সঙ্গে দিবানিদ্রা দিয়েছিলেন স্বামী। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রামে। সোম হাঁসদা নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁকে হাজির করানো হচ্ছে আদালতে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম লক্ষ্মী হাঁসদা (২৭)। বছর সাতেক আগে আউশগ্রামের যুবক সোমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির দুই নাবালিকা সন্তান। মঙ্গলবার দাম্পত্য কলহ হয় সোম-লক্ষ্মীর। তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মধ্যে স্বামী পুঁতে দেন বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় মেঝের মাটি খুঁড়ে বধূর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

সোম এবং লক্ষ্মীর বিয়ে হয়েছিল ভালবেসে। পরিবার সূত্রের খবর, দম্পতির দুই কন্যা রয়েছে। ৬ বছরের বড় মেয়ে সোনিয়া এবং ছোট মেয়ে রাখির বয়স সাড়ে ৩ বছর। তাদের সামনেই স্ত্রীকে শাবল দিয়ে আঘাত করে খুন করেন সোম। অভিযুক্তের মা পানমণি হাঁসদা স্বীকার করেছেন, ছেলেই বৌমাকে খুন করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে প্রত্যেক দিন মদ খেত। কাজকর্ম সে রকমর কিছু করত না। এ নিয়ে বৌমার সঙ্গে অশান্তি লেগেছিল।’’ তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে কোথাও বৌমাকে দেখতে না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন। ছেল জবাব দেন, ‘মার খেয়ে পালিয়েছে।’

Advertisement

ঘটনাক্রমে দুপুরে যে ঘরে দুই কন্যাকে নিয়ে সোম শুয়েছিলেন, সন্ধ্যায় ওই ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রীর দেহ। অভিযুক্তকে থানায় ধরে নিয়ে যায় আউশগ্রাম থানার পুলিশ। সঙ্গে দুই নাবালিকাকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

মৃতার বড় মেয়ে পুলিশকে গোটা ঘটনার বিবরণ দেয়। তার আগে সন্ধ্যায় সোমের বাড়িতে যায় পুলিশের একটি দল। স্ত্রীকে খুন করে যে ঘরটিতে স্বামী পুঁতে রেখেছিলেন, সেই ঘরটি তালাবন্ধ ছিল। তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। ঘরের মেঝের একটি অংশে ফাটল দেখে সন্দেহ হয় তাদের। খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। কিছু ক্ষণ পর পাওয়া যায় লক্ষ্মীর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে, শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে তাঁকে খুন করেন। তার পর একটি ঘরে পুঁতে দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement