তাদের বসতে দিতে হবে পাশাপাশি। দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে বারাসত আদালতে আনার সময়ে প্রিজন ভ্যানে উঠে এমনই দাবি করেন মনুয়া ও অজিত। কিন্তু রাজি হয়নি পুলিশ। তাই শনিবার আদালতে নামানোর পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে দু’জন। তাদের নিয়ে অতিরঞ্জিত সংবাদ ছাপার অভিযোগ তুলে আদালত চত্বরে চিৎকার করে দু’জনেই। ছবি তুলতে গেলে ধাক্কাও দেওয়া হয় চিত্র সাংবাদিকদের। পুলিশ তাদের ঘিরে কোনও মতে কোর্ট লকআপে ঢোকায়। সেখানেও চিৎকার করে দু’জনে।
২০১৭ সালের ৩ মে বাড়িতে খুন হন অনুপম সিংহ। খুনের অভিযোগে অনুপমের স্ত্রী মনুয়া মজুমদার ও তার প্রেমিক অজিত দাসকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এ দিন সেই মামলার শুনানি থাকায় কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয় ধৃতদের। তবে জেলা আদালতের এক আইনজীবী মারা যাওয়ায় এ দিন ছিল কর্মবিরতি। তাই মামলার বিচার পিছিয়ে যায়। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানিয়ে দেন বিচারক।
আগের শুনানির দিনও মামলার বিচারপর্ব বিশেষ এগোয়নি। নানা টালবাহানায় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচার বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে বলে এ দিন মন্তব্য করেন সরকারি কৌঁসুলি বিপ্লব রায়। তিনি জানান, প্রথমে মনুয়ার আইনজীবী ঠিক না হওয়ায় এমনিতেই কিছুটা দেরি হয়েছে। এখন মনুয়ার বাবা নির্মল মজুমদারের সওয়াল-জবাব চলছে। অনুপম যে ঘরে খুন হন, সেই অকুস্থলটিই ঘুরে দেখার আর্জি জানিয়েছেন মনুয়া ও অজিতের আইনজীবীরা। এ দিনও তিনি বলেন, ‘‘এ সব কারণে মামলার দেরি হচ্ছে।’’ তবে পরবর্তী শুনানির দিনই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার আর্জির প্রেক্ষিতে বিচারক রায় দেবেন বলে জানান বিপ্লববাবু।