Suvendu Adhikari

পদে বাংলাদেশিও, অভিযোগ শুভেন্দুর

প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের একটি ভিডিয়ো বার্তায় সামনে আসে বাগদার বাসিন্দা রঞ্জনের নাম। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দু সেই ‘রঞ্জন’ সম্পর্কেই অভিযোগ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৩৯
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

টাকার বিনিময়ে রাজ্যে বাংলাদেশিও চাকরি পেয়েছেন বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতিতে বাগদার যে ‘রঞ্জনে’র নাম উঠে এসেছিল, তাঁর প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, ‘‘বিখ্যাত রঞ্জন। তিনি মাদুর পেতে, চাটাই পেতে এখান থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশের লোককেও চাকরি দিয়েছেন।’’

Advertisement

বিরোধী দলনেতার এই ব্যতিক্রমী অভিযোগকে এখনই আমল দিতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও শুভেন্দু এ সব কথা বলেননি কেন? ওঁর হাতে ও সুপারিশে কত জনের চাকরি হয়েছে, তা নিয়েও তদন্ত করা উচিত।’’

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের একটি ভিডিয়ো বার্তায় সামনে আসে বাগদার বাসিন্দা রঞ্জনের নাম। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় দলীয় বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দু সেই ‘রঞ্জন’ সম্পর্কেই এই অভিযোগ করেন।

Advertisement

উপেন যাঁকে ‘রঞ্জন’ বলে অভিহিত করেছিলেন, সেই চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি এবং সিবিআই। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আপনাদের বনগাঁ-বাগদা তো বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে! টাকা তোলার মেশিন নাকি এখানে আছে। বিখ্যাত রঞ্জন।’’

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এ দিন তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। বীরভূমের মাড়গ্রামে একটি দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের স্কুল কিংবা মাদ্রাসায় শিক্ষক হওয়ার কথা ছিল, তাঁদের চাকরি সব লুট হয়েছে। একটা মানিক ধরা পড়েছে, মমতার খাটালে আরও মানিক লুকিয়ে আছে। তাদের টেনে হিঁচড়ে বার করে আনতে হবে।’’ কুণালের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘অস্তিত্ব রাখতে বিজেপির পিছু নিয়েছে সিপিএম।’’

বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলের যোগদান নিয়েও এ দিন কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বিধায়ক। আর এখানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি। চিড়িয়াখানা এবং সার্কাসেও এ জিনিস দেখা যায় না।’’ বিরোধী দলনেতা কর্মীদের উদ্দেশে জানান, ২০২৪ সালে একসঙ্গে (লোকসভা ও বিধানসভা) ভোট হবে। এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘ওঁর বাবা (শিশির অধিকারী) তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। উনি এখন কোথায় আছেন শুভেন্দু আগে নিজের বাবার কাছে জানতে চান।’’ এ দিনের বিজয়া সম্মেলনীতে দেখা যায়নি বনগাঁ পুরসভার একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডলকে। আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকা সত্ত্বেও আসেননি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু বলেন, ‘‘আমি সিকিমে আছি।’’ দেবদাস জানিয়েছেন, তিনি দিল্লিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন