নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত মাওবাদী নেতা শচীন ঘোষাল তাঁর মৃত্যুর পরে দেহদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ওই ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়েছে আদালত।
আলিপুর জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত মজুমদার ও নবকুমার ঘোষ শনিবার জানান, বছর পঞ্চান্ন বয়সী শচীনবাবু এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বিচারাধীন বন্দি। ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থেকে তিনি ও আরও পাঁচ মাওবাদী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রের খবর, গত ২৬ জুন শচীনবাবু জেল সুপারের কাছে একটি চিঠি লিখে জানান, তাঁর ‘শেষ ইচ্ছা’ হল, তিনি মৃত্যুর পরে দেহদান করতে চান। জেল সুপার ওই মাওবাদী নেতার চিঠিটি ওয়েলফেয়ার অফিসারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন আলিপুর আদালতে।
এ দিন আলিপুর জেলা আদালতের বিচারক বিদ্যুৎ রায়ের এজলাসে ওই চিঠিটি খোলা হয়। সরকারি আইনজীবীরা আদালতে জানান, এক জন মাওবাদী এই ধরনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ইচ্ছাকে তাঁরা সম্মান জানাচ্ছেন। বিচারক জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন, শচীনবাবুর শেষ ইচ্ছার কথা রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে জানিয়ে দিতে। বিচারকের আরও নির্দেশ, যে সব মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহ রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে, সেখানেই যেন এই খবর পাঠান জেল সুপার।