মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান বড়মা। —ফাইল চিত্র
ঠাকুরনগরে এসে মতুয়াদের‘বড়মা’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছবি তুলতে পারেন। কিন্তু ‘বড়মা’র সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ‘মা-মেয়ে’র। প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা সভায় বুধবার এমনই দাবি করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।ওই সভা থেকেই সিবিআইকে ‘ব্যবহার’ করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
গত শনিবার ঠাকুরনগরে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মতুয়া ভোটে দলের ভাগ ‘নিশ্চিত’ করার লক্ষ্যেই সভা করেছিল বিজেপি। নিজেদের ঘোষণা মতো সেখানেই এদিন পাল্টা সভা করে তৃণমূল। তবে মতুয়া ভোটে তৃণমূলের একাধিপত্য থাকবে দাবি করে ফিরহাদ বলেন, "বড়মা’র পা ছুঁলেই মতুয়া ভোট পেয়ে যাবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু একদিনে সম্পর্ক তৈরি হয় না। আট বছর ধরে ঠাকুরনগরে যে কর্মযোগ্য হয়েছে, তা মতুয়া ভক্তরা নিশ্চয়ই ভুলে যাবেন না।"জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ধান্দা ও অভিসন্ধি ছিল মতুয়া ভোট পাওয়া! তাই তিনি অসুস্থ বড়মাকে টেনে তুলেছিলেন। কিন্তু তিনি জানেন না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বড়মার মা-মেয়ের সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী এখানে এলেও বিজেপি জিরো, না এলেও জিরো!"
তবে প্রধানমন্ত্রীর সভার অন্যতম উদ্যোক্তা শান্তনু ঠাকুরের দাবি, ‘‘মোদীজি’র সভায় কয়েক লক্ষ মতুয়া ভক্ত এসেছিলেন। তৃণমূলের এদিনের সভায় পাঁচ থেকে সাত হাজার লোক এসেছিলেন।’’ ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর ওই সভায় নদিয়া জেলা থেকেও দলীয় সমর্থকদের নিয়ে এসেছিল বিজেপি। ওই ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই পাল্টা সভার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে এদিনের ভিড় নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলের একাংশের মধ্যেও। প্রধানমন্ত্রীর সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।জ্যোতিপ্রিয় অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের এই সভায় শুধু গাইগাটা ব্লকের কর্মী-সমর্থকেরা এসেছেন।’’ এই জেলা থেকে নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীরাও এদিনের সভায় বক্তৃতা করেন।