Howrah-Puri Vande Bharat Express

লুচি-আলুর দম থেকে চিকেন রোস্ট, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতে কী কী খাবার পরিবেশন করা হবে?

সাড়ে ৬ ঘণ্টার যাত্রায় এলাহি আয়োজন থাকবে খাওয়াদাওয়ার। কী কী পড়বে যাত্রীদের পাতে, তার তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ১৬:৩৭
Share:

যাত্রাকালে একের পর এক খাবার পরিবেশন করা হবে যাত্রীদের। প্রাতরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজ বা সন্ধ্যার মুখরোচক, সবই থাকছে মেনুতে। — ফাইল ছবি।

হাওড়া থেকে মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টায় পুরী পৌঁছে দেবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শনিবার থেকেই ওই পথে চালু হয়েছে ট্রেন। ১৬ কামরার ট্রেনে চেয়ারকার এবং এগজিকিউটিভ, দু’টি শ্রেণি থাকবে। সাড়ে ৬ ঘণ্টার যাত্রায় এলাহি আয়োজন থাকবে খাওয়াদাওয়ার। কী কী পড়বে যাত্রীদের পাতে, তার তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

Advertisement

রেল জানিয়েছে, হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়বে ২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পুরী পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পুরী থেকে ওই দিনই দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বন্দে ভারত। হাওড়া পৌছবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। বন্দে ভারতের চেয়ার কারে হাওড়া থেকে পুরী যেতে খরচ পড়বে ১,২৬৫ টাকা। এগজ়িকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ২,৪২০ টাকা। যাত্রাকালে একের পর এক খাবার পরিবেশন করা হবে যাত্রীদের। প্রাতরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজ বা সন্ধ্যার মুখরোচক, সবই থাকছে মেনুতে।

বন্দে ভারতের একজিকিউটিভ ক্লাসের জন্য মোট চার ধরনের মেনু রয়েছে। রেলে খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা আইআরসিটিসির অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, এইচআর তথা পিআর মধুমিতা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ৪ ধরনের মেনুর মধ্যে এক এক দিন এক ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে। কবে কোন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে, তা স্থির করবে আইআরসিটিসি। যাত্রীদের বাছাই করার সুযোগ থাকবে না। তবে জৈনদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন মধুমিতা।

Advertisement

এগজিকিউটিভ ক্লাসের জন্য বরাদ্দ প্রথম ধরনের মেনুতে প্রথমেই রয়েছে চা বা কফি বা গ্রিন টি বা লেমন টি। টিব্যাগ দেওয়া হবে। সঙ্গে চিনি বা গুড় বা সুগারফ্রি, দুধ, বিস্কুট বা কুকিজ় দেওয়া হবে। এর পরেই প্রাতরাশে দেওয়া হবে ওটস বা মুসলি বা কর্নফ্লেকস বা চকোস বা রাগি বাইটস। সঙ্গে গরম বা ঠান্ডা দুধ এবং চিনি বা গুড় বা মধু। সঙ্গে চারটি লুচি, ছোলার ডাল বা আলুর দম, ২টি ভেজিটেবল কাটলেট আর দই। যে যাত্রীরা আমিষ খাবেন, তাঁদের জন্য ভেজ কাটলেটের বদলে রয়েছে ডিমের অমলেট। সঙ্গে কলা বা আপেল বা কমলা লেবু দেওয়া হবে। প্রাতরাশে থাকবে একটি ডিম ছাড়া মাফিন বা ব্রাউনি বা ফ্রুট কেক বা ওয়ালনাট কেক। প্রাতরাশের সঙ্গে পরিবেশন করা হবে চা বা কফি।

প্রাতরাশের কিছু ক্ষণ পর হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতে একজ়িকিউটিভ শ্রেণির যাত্রীদের পরিবেশন করা হবে টমেটো স্যুপ। মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে থাকবে একটি বান পাউরুটি বা ক্রোয়াশোঁ, পিস পোলাও, ২টি ত্রিকোণ পরোটা, মুগের ডাল, মটর পনির (৭০ গ্রাম) বা ডালমা, ভেন্ডি কুরকুরি। যে যাত্রীরা আমিষ খাবেন, তাঁদের পনির বা ডালমার বদলে বাঙালি ধাঁচে রান্না করা চিকেন কষা (৭০ গ্রাম) দেওয়া হবে। শেষ পাতে সাদা বা মিষ্টি দই, আইসক্রিম, ছানা পোড়া বা ক্ষীরকদম দেওয়া হবে।

পুরী থেকে হাওড়া আসার সময় বন্দে ভারতে সন্ধ্যাবেলা এগজ়িকিউটিভ যাত্রীদের দেওয়া হবে শিঙারা, চিজ় স্যান্ডউইচ, বাদাম বা নারকেলের চিক্কি বা ক্যারামেল পপকর্ন। সঙ্গে আলুর ভুজিয়া বা চানাচুর বা ঝালমুড়ির ৩০ গ্রামের প্যাকেট। এ সবের সঙ্গে পরিবেশন করা হবে চা বা কফি বা গ্রিন টি বা লেমন টি।

বাকি অন্য ধরনের মেনুতে কোনও দিন মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে চিকেন কষার বদলে চিকেন রোস্ট বা মাছের ঝোল পরিবেশন করা হবে। কোনও দিন প্রাতরাশে লুচির বদলে থাকবে পরোটা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন