জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে কি? শীত নিয়ে ধন্দে আবহবিজ্ঞানীরা

ভেম্বর শেষের আগেই এমন ঠান্ডা দেখে শীতপ্রত্যাশীদের অনেকে বলছেন, তা হলে কি সময়ের আগেই শীত থিতু হল দক্ষিণবঙ্গে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:১১
Share:

—ফাইল চিত্র।

নভেম্বর শেষ হয়নি। কিন্তু কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের পারদ ক্রমশ নিম্নমুখী। শনিবার ব্যারাকপুরের পারদ নেমেছে ১৪.৩ ডিগ্রিতে। পুরুলিয়া, পানাগড়, শ্রীনিকেতনেও উত্তুরে হাওয়া কামড় বসানো শুরু করেছে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৭ ডিগ্রিতে। নভেম্বর শেষের আগেই এমন ঠান্ডা দেখে শীতপ্রত্যাশীদের অনেকে বলছেন, তা হলে কি সময়ের আগেই শীত থিতু হল দক্ষিণবঙ্গে? তা অবশ্য এখনই বলছেন না আবহবিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে কি না, তা নিয়েও ধন্দে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের সদর দফতর মৌসম ভবন। এ ক্ষেত্রে জলবায়ুর চরিত্র বদলকেই দায়ী করছেন তাঁরা।

Advertisement

শুক্রবার দিল্লিতে পরিবেশ গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ (সিএসই) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল কে জে রমেশ জানান, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার চরিত্র বদলাচ্ছে। ফলে প্রতি বছর শীতের চরিত্রও আগের বছরের তুলনায় পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই ঋতু পরিবর্তনের ধারাতেও খামখেয়ালিপনা নজরে আসছে। এ বার আগেভাগে ঠান্ডা হাওয়া মিললেও তা বজায় থাকবে কি না, সেই পূর্বাভাস করতে পারছেন না।

আবহবিদেরা জানান, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বা ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা, ভারী হাওয়া ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান পেরিয়ে ভারতে ঢোকে। কাশ্মীর, হিমাচলে বরফপাত ঘটিয়ে তা বয়ে যায় নেপাল বা তিব্বতের দিকে। এই ঠান্ডা হাওয়াই শীত ছড়িয়ে দেয় ভারতে। কিন্তু তার চরিত্র বদলাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় জলবায়ুর বদল নজরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রাও ফের বৃদ্ধি পেলে শীতের দফারফা নিশ্চিত। আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের খামখেয়ালিপনা গত কয়েক বছরে গাঙ্গেয় বঙ্গে দেখা গিয়েছে। শীতের চরিত্রে ‘অস্বাভাবিকতা’ও নজরে এসেছে। সাধারণত, ডিসেম্বরেই শীত থিতু হয় গাঙ্গেয় বঙ্গে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ডিসেম্বরে আহামরি ঠান্ডা না মিললেও জানুয়ারিতে তিন-চার দিনের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার পতন হয়েছে। আবার কয়েক দিনের মধ্যেই বেড়েছে তাপমাত্রা। সিএসই-র ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশবিদ সুনীতা নারায়ণ বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে জলবায়ু পরিবর্তন হবে, এ কথা তো বারবার বলা হচ্ছে। প্রকৃতির মধ্যে এই যে খামখেয়ালিপনা দেখা যাচ্ছে, সেটাই জলবায়ু বদলের প্রমাণ।

Advertisement

আরও পড়ুন: এসপ্ল্যানেডের নীচ দিয়ে এগোচ্ছে মেট্রোর সুড়ঙ্গ

আরও পড়ুন: উষ্ণায়ন কমাতে সালফেটের চাদর!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন