প্রতিবাদ: কলেজের পড়ুয়াদের ঘেরাও। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
শিক্ষকেরা নিয়মিত কলেজে আসেন না। ফলে ক্লাস হয় না নিয়মিত, এমনই নানা অভিযোগে গত মঙ্গলবার থেকে মেদিনীপুর হোমিও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়ারা। আলোচনার মাধ্যমে জট না খোলায় বুধবারও অব্যাহত থাকল ঘেরাও।
কলেজ ইউনিয়নের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর বরের অভিযোগ, ‘‘স্বাস্থ্য ভবনে কাজ আছে বলে শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন কলেজে আসেন না। কলেজে নিয়মিত উপস্থিতির হিসেব রাখার জন্য ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স’-এর ব্যবস্থা রয়েছে। তবে শিক্ষকদের যোগসাজশেই সেটি দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘অধ্যক্ষ থেকে শিক্ষকেরা এখন একদিন কলেজে এসেই রেজিস্টারে সারা সপ্তাহের উপস্থিতির স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন।’’
কলেজ ইউনিয়নের সম্পাদক পলাশ মেইকাপেরও অভিযোগ, ‘‘কলেজে পড়াশোনা হয় না। ওয়ার্ডে কোনও রোগী ভর্তি হয় না। তাই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা কিছুই শিখতে পারছি না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা পরীক্ষায় ফেল করে যাব। আর যদি পাশ করে যাই, তাহলে কীভাবে মানুষের চিকিৎসা করব তা জানব না। কারণ আমারা কিছুই শিখতে পারছি না। আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঘেরাও চলবে।’’
অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ সোমনাথ সাহা। সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘কলেজে কর্মী কম থাকায় আমাদেরই কেরানির কাজ করতে হয়। স্বাস্থ্য ভবনেও দৌড়তে হয়। তাঁর দাবি, ‘‘ছাত্রদের পড়াশোনার দিকে আমাদের নজর রয়েছে। যথা সময়ে সিলেবাস শেষ করা হবে। কাজের তাগিদেই আমরা সব দিন কলেজে আসতে পারি না।’’ হাসপাতালে রোগী ভর্তি করেন না কেন? সোমনাথবাবুর দাবি, ‘‘হোমিওপ্যাথি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমই থাকে।’’ ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ।