বাস দুর্ঘটনায় জখম ১০, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

কয়েক মাস আগে এক পথচারীকে পিষে দিয়েছিল বাস। তারপরও হুঁশ ফেরেনি পুলিশ কিংবা প্রশাসনের। অভিযোগ, হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের কিছুটা দূরে মারাত্মক ওই বাঁকের কাছে যানচালকদের সতর্ক করতে নেই কোনও সিগন্যাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহিষাদল শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩০
Share:

কয়েক মাস আগে এক পথচারীকে পিষে দিয়েছিল বাস। তারপরও হুঁশ ফেরেনি পুলিশ কিংবা প্রশাসনের। অভিযোগ, হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের কিছুটা দূরে মারাত্মক ওই বাঁকের কাছে যানচালকদের সতর্ক করতে নেই কোনও সিগন্যাল। এমনকী গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্যও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। ফলে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। মঙ্গলবারও ফের ওই বাঁকের কাছে দুর্ঘটনায় জখম হলেন দুটি বাসের যাত্রীরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হুমগড়গামী একটি বাস হলদিয়া থেকে মেচেদার দিকে যাচ্ছিল। গোপালপুর বাসস্ট্যান্ড পেরোতেই বাঁকের কাছ এসে পৌঁছয় বাসটি। বিপরীত দিকে কোলঘাট থেকে অপর একটি বাস দ্রুতগতিতে আসছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি বাসের গতিই বেশ জোরে ছিল। বাঁকের কাছে একেবারে শেষ মুহূর্তে দু’টি বাস পরস্পরকে দেখতে পেয়ে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে মগড়গামী বাসটি রাস্তার পাশে একটি গ্রিলের কারখানায় ধাক্কা মারে। অপর বাসটি রাস্তার ধারে একটি টেলিফোনের খুঁটিতে গিয়ে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম হন ১০ জন যাত্রী। তাঁদের স্থানীয় বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় মহিষাদল থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার জেরে হলদিয়া- মেচেদা রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বড় বাঁক রয়েছে। তা ছাড়া ওই জায়গায় প্রচুর গাছ থাকায় গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হয়। বাঁকে মুখে গাছের আড়ালে দৃশ্যমানতা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বাঁকের কাছে কোনও ডিভাইডার কিংবা সতর্কতামূলক বোর্ড লাগানো নেই। মাস তিনেক আগে এক পথচারীকে পিষে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল একটি বাস। সে বার ওই এলাকায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুর্ঘটনা এড়াতে যেখানে রাজ্য সরকার ‘সেভ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচী নিয়েছে। অথচ এখানে দুর্ঘটনা এড়াতে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে পাঁচটি দুর্ঘটনা হয়েছে। একজন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন জনা পনেরো।

Advertisement

হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই জায়গায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তার উপর রেক বসানো ছিল। তবে পাকাপাকিভাবে একটি হাম্প তৈরি করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন