Dengue

নামেই অভিযান, বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্ত

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, এ বারও সব থেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে সেই খড়্গপুর শহরেই। লাগাতার অভিযানের পরেও এক সপ্তাহ আগে রেলশহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯২। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১১২।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাশ টানা দূর অস্ত্, ক্রমে ডেঙ্গি জাল ছড়াচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলায় একলাফে অনেকটাই বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।

Advertisement

এক সপ্তাহ আগেও যেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২০ জন, এখন সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৬৯ জন। অর্থাৎ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে আরও রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে নতুন করে আরও অন্তত ৪৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে জেলায়।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মেনে নিয়েছেন, ‘‘নতুন করে বেশ কয়েক জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। প্রত্যেকেরই চিকিৎসা চলছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, এ বারও সব থেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে সেই খড়্গপুর শহরেই। লাগাতার অভিযানের পরেও এক সপ্তাহ আগে রেলশহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯২। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১১২। এ ছাড়া, নারায়ণগড়ে ৪, পিংলায় ৪, সবংয়ে ৪, মেদিনীপুর গ্রামীণে ২, কেশপুরে ২, ঘাটালে ৭, চন্দ্রকোনা-১ ব্লকে ১, দাসপুর- ১ ব্লকে ৮, দাসপুর-২ ব্লকে ৪, ঘাটাল শহরের এক জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছেন।

Advertisement

মাস খানেক আগে থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়। একদম শুরুতে জেলায় ৭৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মেলে। পরে পরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। খড়্গপুর-সহ জেলার নানা প্রান্তে ডেঙ্গি প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা না নেওয়াতেই রোগে রাশ টানা যাচ্ছে না বলে নানা স্তরে অভিযোগ উঠেছে।

কেন ডেঙ্গি প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সপ্তাহ খানেক আগে সরাসরি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবুর কাছে এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও। জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অবশ্য সাফাই, এ বার অনেক আগে থেকেই সচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়েছিল। পরে সচেতনতামূলক প্রচারের উপর আরও জোর দেওয়া হয়।

জেলারই এক স্বাস্থ্যকর্তা মানছেন, ডেঙ্গির প্রকোপ যে বাড়তে পারে, তার পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন এলাকায় অভিযান হয়েছিল। তখনই মেদিনীপুর, খড়্গপুরের মতো নানা এলাকায় জমা জলে মশার লার্ভার খোঁজ মিলেছিল।” ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “পদক্ষেপ যে একেবারেই করা হয়নি তা নয়। হয়তো আরও কিছু পদক্ষেপ করা সম্ভব ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন