কুকুরের কামড়ে হলদিয়ায় জখম ১৬, কাঠগড়ায় পুলিশ

দুপুরের পর বন দফতরের কর্মীরা এলেও খোঁজ পায়নি কুকুরটির। তারপর পথে নেমেছেন বাসিন্দারাই। তাঁরাই মাইকে প্রচার করে সতর্ক করেছেন প্রতিবেশী ও অন্য কাজে শহরে আসা মানুষজনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ১২:৩০
Share:

কামড়: জখম শিশু। নিজস্ব চিত্র

কুকুরের কামড়ে গুরুতর জখম হলদিয়ার বাসিন্দারা। দুই শিশু-সহ ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ হলদিয়ার ক্ষুদিরাম স্কোয়ারের এলাকায় একটি অসুস্থ কুকুর একাধিক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি।

Advertisement

ঘটনায় গুরুতর জখম প্রভাত দাস, একটি বিমা সংস্থার আধিকারিক। এ দিন তাঁর অফিসে ঢোকার মুখেই কুকুরটি আক্রমণ করে। তাঁর হাতের কড়ে আঙুল কেটে ঝুলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রভাতবাবুকে একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সুরজিৎ কুইতি নামে আর একজনেরও ডান হাতের কড়ে আঙুল খুবলে খেয়েছে কুকুরটি। চার বছরের স্নেহা দাসের পিঠে ও হাতে কামড়ে দিয়েছে। শক্তিপ্রসাদ জানা নামে এক সত্তোরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধও আক্রান্ত। আয়কর দফতরের আধিকারিক সুমন সোরেনের পিঠের মাংসও তুলে নিয়েছে কুকুরটি। স্কুলে থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হয় হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শুভঙ্কর কর্মকার।

দুপুরের পর বন দফতরের কর্মীরা এলেও খোঁজ পায়নি কুকুরটির। তারপর পথে নেমেছেন বাসিন্দারাই। তাঁরাই মাইকে প্রচার করে সতর্ক করেছেন প্রতিবেশী ও অন্য কাজে শহরে আসা মানুষজনকে।

Advertisement

হলদিয়া পুরসভার প্রশাসক ও মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু নস্কর অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ তবে দুর্গাচক থানার সাফাই, আমরা বন দফতরে খবর দিয়ে দিয়েছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার রাস্তায় কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। পুলিশ, বন দফতর বা পুরসভা কারও কোনও হেলদোল নেই। পথ-কুকুরগুলিকে ‘স্টেরিলাইজ’ করা বা অসুস্থ কুকুরগুলির চিকিৎসার দাবি তুলে একাধিকবার আবেদনও করেছেন তাঁরা। কাজ হয়নি। এ বিষয়ে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার জগদ্বন্ধু দাস বলেন, ‘‘কুকুর ধরা বা স্টেরিলাইজেশন করার আলাদা দফতর নেই। তবে কেউ পথকুকুর নিয়ে অভিযোগ জানালে আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন