বেলদায় দুর্ঘটনার পরে। —নিজস্ব চিত্র।
ব্যবসার কাজে গাড়িতে ওড়িশার জাজপুরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। জখম গাড়ির চালক-সহ আরও দু’জন। সোমবার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের নাম ধনঞ্জয় পণ্ডিত (৫০) ও রমেশ অগ্রবাল (৫৬)। জখম হয়েছেন রমেশবাবুর ভাইপো বিকাশ অগ্রবাল ও শ্যালক মঙ্গল লাল। মঙ্গলবাবুই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ধনঞ্জয়বাবু ও রমেশবাবু দু’জনেই পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁরা সকলেই হাওড়ার বেলুড়ের জেএন মুখোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধনঞ্জয়বাবু ও রমেশবাবুর ছাঁট লোহার যৌথ ব্যবসা রয়েছে। হাওড়া ও ওড়িশার জাজপুরে তাঁদের রোলিং মিল রয়েছে। সেই কারণে ব্যবসার কাজে প্রায়ই তাঁরা ওড়িশা যেতেন। এ দিনও জাজপুর যাওয়ার পথে বেলদার কাছে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার ভেঙে জাতীয় সড়কের অন্য লেনে চলে যায়। সেই সময় ওই লেনে দ্রুতগতিতে আসা একটি লরি গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ধনঞ্জয়বাবুর মৃত্যু হয়। চালক-সহ জখম বাকি তিন জনকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় রমেশবাবুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ব্যবসার প্রয়োজনেই তাঁরা ওই টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশের ধারণা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মঙ্গলবাবু বলেন, “৮০-৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। বেলদার কাছে গিয়ে গাড়ির স্টিয়ারিং কাজ করছিল না। তারপরে আর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। ট্রাক এসে গাড়িতে ধাক্কা মারে। এরপরে আর কিছু মনে নেই।”