পদকজয়ী: ঝাড়গ্রামে শুরু নাট্য কর্মশালা
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ছবি এঁকে সোনার পদক জিতে এল আট বছরের শাওন মল্লিক। তবে শাওন একা নয়, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির আরও তিনজন পদক পেয়েছে জাপানের ওই প্রতিযোগিতায়। তার মধ্যে রয়েছে দু’টি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ। সবাই পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা।
জাপানের ‘ফাউন্ডেশন ফর আর্ট এগজিবিশন’ নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে ৪৭ তম ‘ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন আর্ট এগজিবিশন ২০১৭’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল তমলুকের ধলহরা এলাকার একটি আর্ট স্কুলের সদস্যরা। শাওন ছা়ড়াও অষ্টম শ্রেণির প্রকাশ জানা ও দ্বাদশ শ্রেণির সাথী মাইতি রুপোর পদক জিতেছে। ব্রোঞ্জ জিতেছে অষ্টম শ্রেণির অয়ন্তিকা হাজরা।
গত বছরের অক্টোবরে ডাক যোগে শাওন, অয়ন্তিকাদের হয় ছবি পাঠানো হয় ওই প্রতিযোগিতায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল জাপানে। সম্প্রতি ডাকযোগেই জয়ীদের পদক, শংসাপত্র তমলুকে পৌঁছে গিয়েছে।
তমলুকের ধলহরা পঞ্চায়েতের মথুরি গ্রামের শাওন একটি বিড়ালের ছবি এঁকেছিল প্যাস্টেলে। বাবা আশিক আলম পেশায় কাঠের মিস্ত্রি। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র শাওন বাড়ির কাছেই আর্ট স্কুলে ছবি আঁকার তালিম নিচ্ছে গত দু’বছর। ছেলের সাফল্যে খুশি মা সালিমা বেগম বলেন, ‘‘ছবি খুব আগ্রহ দেখে আঁকার স্কুলে ভর্তি করেছিলাম। এমন সাফল্য পাবে ভাবিনি। আরও ছবি আঁকুক ও।’’
তমলুকের কাখরদা পঞ্চায়েতের সাইরা গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশের ছবির মাধ্যমও প্যাস্টেল। কৃষ্ণগঞ্জ কৃষি-শিল্প স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রটি এঁকেছিল একটা মিষ্টির হাঁড়ি। মথুরি গ্রামের সাথী ওদের মধ্যে সবথেকে বড়। তাই সে বেছেছিল জলরং। পরিচিত এক গ্রামীণ হাটের ছবিই তাকে রুপোর পদক এনে দিয়েছে। অয়ন্তিকা হাজরার বাড়ি সাইরা গ্রামের। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ স্কুলের ছাত্রী এঁকেছিল উপজাতি উৎসবের ছবি, প্যাস্টেলে। ওই বিভাগে তৃতীয় হয়েছে সে।
ওই চার জনের সাফল্যে খুশি তাদের শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুল পড়ুয়ারা পড়াশোনার পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে ছবি আঁকা শিখছে। তবে এ বছর প্রথম ওদের ছবি ওই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় পাঠানো হয়েছিল। প্রথমবারই এমন সাফল্য অন্যদেরও উৎসাহিত করবে।’’