বুনো হাতির হামলায় মৃত্যুর এককালীন আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বেড়ে হল চার লক্ষ টাকা।—ফাইল চিত্র।
বুনো হাতির হামলায় মৃত্যুর এককালীন আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বাড়াল রাজ্য সরকার।
এতদিন হাতি সহ বন্যপ্রাণীর আক্রমণে কারও মৃত্যু হলে এককালীন আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হত মৃতের পরিজনদের। এবার সেটা বেড়ে হল চার লক্ষ টাকা। গত ২৯ অক্টোবর রাজ্য বন দফতরের যুগ্ম সচিবের দেওয়া এক সরকারি আদেশনামায় আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের বামুনমারা গ্রামে হাতির হামলায় মৃত্যু হয় অজিত রায় নামে এক প্রৌঢ়ের। বন দফতর সূত্রের খবর, অজিতের পরিবার বর্ধিত হারে ক্ষতিপূরণ পাবে।
বন দফতর সূত্রের খবর, এখন কার্যত সারা বছরই দলমার হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় বিভিন্ন এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। দলমার দলছুট কিছু হাতি ‘রেসিডেন্ট’ হয়ে থেকে গিয়েছে জঙ্গলমহলে। প্রতি বছর দুই জেলা মিলিয়ে হাতির হামলায় গড়ে ১৫-২০ জনের মৃত্যু হয়। অনেক ক্ষেত্রে দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুর ফলে চরম সমস্যায় পড়ে তাঁর পরিবার। তাই আড়াই লক্ষ টাকা যথেষ্ট নয় বলে বিভিন্ন সময়ে মৃতের পরিজনেরা বন দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকেও আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত প্রস্তাব খতিয়ে দেখে অবশেষে রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হোলেইচ্চি বলেন, “বর্ধিত হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশিকা পেয়েছি।
সম্প্রতি বামুনমারা গ্রামে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে বর্ধিত হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” সরকারি আদেশনামায় হাতির হামলায় জখম এবং অঙ্গহানি হলে সে ক্ষেত্রেও আর্থিক সাহায্যের হার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। হাতির হামলায় চোখ নষ্ট হলে বা অঙ্গহানি হলে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হলে ৫৯,১০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ষাট শতাংশের বেশি হলে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহত হয়ে এক সপ্তাহের বেশি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকলে মিলবে ১২,৭০০ টাকা। এক সপ্তাহের কম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকলে ৪,৩০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে।