মমতার সভায় ৬০০ বাস, কাল থেকেই দুর্ভোগ

ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোম এবং মঙ্গলবার তাঁর প্রশাসনিক সভা রয়েছে যথাক্রমে খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রামে। সেই সভার জন্য প্রচুর বাস ভাড়া করা হয়েছে। ভাড়া করা বাসগুলো রবিবার বিকেল থেকেই এক-এক জায়গায় পৌঁছতে শুরু করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৪
Share:

ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোম এবং মঙ্গলবার তাঁর প্রশাসনিক সভা রয়েছে যথাক্রমে খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রামে। সেই সভার জন্য প্রচুর বাস ভাড়া করা হয়েছে। ভাড়া করা বাসগুলো রবিবার বিকেল থেকেই এক-এক জায়গায় পৌঁছতে শুরু করবে। ফলে, দুর্ভোগ শুরু হবে হয়ে যাবে কাল থেকেই।

Advertisement

রাস্তায় বেরিয়ে বাসের সমস্যা যে হবে তা মানছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভা রয়েছে। সভার জন্য বেশ কিছু বাস ভাড়া করা হয়েছে। সোম এবং মঙ্গলবার সব রুটে বাস থাকবে না। সমস্যা হবেই।” মৃগাঙ্কবাবুর দাবি, “তবে জেলায় পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে না। কিছু বাস থাকছে।’’

এই জেলার উপর দিয়ে দিনে প্রায় ৮০০ বাস চলাচল করে। জেলা প্রশাসনেরই এক সূত্রে খবর, এর মধ্যে প্রায় ৬০০ বাস ভাড়া করা হয়েছে। ৬০০ বাস সোম এবং মঙ্গলবার পথে থাকছে না। বুধবার সকালের দিকেও বাস চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক নাও হতে পারে। জেলার এক বাস-মালিক মানছেন, “ভাড়া করা বাসগুলো উপভোক্তাদের নিয়ে যেমন সভাস্থলে পৌঁছবে, তেমন সভা শেষে ফের উপভোক্তাদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্লকে ফিরে যাবে। বুধবার সকালের দিকে কিছু বাস কম থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সব ঠিকঠাক থাকবে।’’

Advertisement

সোমবার খড়্গপুরে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভা। এই সভা থেকেই ঝাড়গ্রামকে নতুন জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন তিনি। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, দু’টি সভা থেকেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধে প্রদান করা হবে। খড়্গপুরের সভায় দাঁতন, নারায়ণগড়, ডেবরা, সবং, পিংলা, কেশিয়াড়ি প্রভৃতি এলাকার মানুষেরা যাবেন। ঝাড়গ্রামের সভায় গোপীবল্লভপুর, বেলপাহাড়ি, লালগড়, নয়াগ্রাম প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা। শাসক দলের এক জেলা নেতার দাবি, “দু’টি সভাতেই লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে!” অবশ্য অত্যধিক গরম চিন্তায় রেখেছে শাসক দলকে। শাসক দলের এক জেলা নেতার স্বীকারোক্তি, “দুপুরের পরে তো বাড়ির বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। সভাস্থল ভরানো খুব সহজ হবে না।” যদিও তৃণমূলের অন্য এক নেতার বক্তব্য, “প্রশাসনই বাসে করে বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের সভায় আনার ব্যবস্থা করছে। ফলে, মাঠ ভরানো কঠিন হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন