Elephant

কুয়োয় হাতি, রাতভর চেষ্টায় ফিরল দলে 

গত কয়েক বছর ধরেই হাতির দলকে নয়াগ্রাম থেকে সাঁকরাইলের দুধকুণ্ডি, জঠিয়া থেকে অর্জুনি হয়ে কাঁসাই নদী পেরিয়ে চাঁদরা হয়ে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হয়। তবে ওই পথের কয়েকটি এলাকায় হাতিদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় প্রতিবার নানা বেগ পেতে হয় বন দফতরকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৮ ০১:০৯
Share:

সেচ কুয়োয় পূর্ণবয়স্ক হস্তিনী। নিজস্ব চিত্র

দলমা ফেরার চেনা পথে বাধা আসতেই বিপত্তি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল হাতির দল। মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের ধানঘোরি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকুঁদরা গ্রামে অগভীর সেচ কুয়োয় পড়ে গেল একটি পূর্ণবয়স্ক হস্তিনী।

Advertisement

বন দফতর সূত্রের খবর, প্রতিবছর এই সময়েই ঝাড়খণ্ডের দলমা থেকে আসা হাতির দল নয়াগ্রাম থেকে ফের দলমায় ফেরত যায়। গত কয়েক বছর ধরেই হাতির দলকে নয়াগ্রাম থেকে সাঁকরাইলের দুধকুণ্ডি, জঠিয়া থেকে অর্জুনি হয়ে কাঁসাই নদী পেরিয়ে চাঁদরা হয়ে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হয়। তবে ওই পথের কয়েকটি এলাকায় হাতিদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় প্রতিবার নানা বেগ পেতে হয় বন দফতরকে। এ বার তাই হাতিদের সাঁকরাইলের পরে লোধাশুলি দিয়ে ঝাড়গ্রাম হয়ে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বন দফতর। সেই মতোই মঙ্গলবার হাতিদের ওই পথে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে নামেন বনকর্মীরা। কিন্তু সোনাকুঁদরার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এ বার সাঁকরাইলের সোনাকুঁদরার পরেই লোধাশুলিতে ঢোকার পথেই বাধা পায় হাতির দল। তার পরে ফের সোনাকুঁদরা গ্রামে ফিরে আসে দলটি। এর পরে ছোট-ছোট দলে ভাগ হয়ে সোনাকুঁদরা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। কলাইকুণ্ডার রেঞ্জ অফিসার স্বপন মণ্ডলের নেতৃত্বে বনকর্মী ও হুলাপার্টিরা হাতিদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় নামে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, হাতির দলকে একত্রিত করার সময় ধানজমির মাঝে একটি অগভীর সেচকুয়োয় পড়ে যায় একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতি। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে যায় বেশ কয়েকটি হাতি। এর পরে বনকর্মী ও হুলাপার্টিরা বাকি হাতিদের তাড়িয়ে সেচকুয়োয় পড়ে যাওয়া হাতিটিকে তোলার চেষ্টা শুরু করে। আনা হয় বিপুল পরিমাণ খড়। প্রায় ৪ ফুট কুয়োর মধ্যে খড় ফেলে উঁচু করে হাতিটিকে তুলে আনা হয়। এর পরে মূল দলের সঙ্গে মিশে যায় হাতিটি। আপাতত হাতির দলটি দুধকুণ্ডির কাছে শঙ্করবনির জঙ্গলে রয়েছে। বুধবার নতুন করে তাঁদের দলমার দিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়নি। কলাইকুণ্ডার রেঞ্জ অফিসার স্বপন মণ্ডল বলেন, “পরবর্তী নির্দেশ এলে ফের কোন গতিপথে হাতিগুলিকে দলমার দিকে ফেরানো হবে তা ভাবা হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement