digha

টানা দু’দিন ধরে হোটেলে প্রায় বন্দি পর্যটকরা, সোমে বৃষ্টির বেগ কমতেই দিঘার সৈকতে ভিড়

ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে এবং উত্তাল ঢেউয়ে স্নান করতে নামলে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশাসনের তরফে সোমবারও পর্যটকদের নিষেধ করা হয়েছে সমুদ্রে নামতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২৬
Share:

দিঘার সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস। — ফাইল চিত্র।

বৃষ্টির জেরে শনি এবং রবিবার টানা দু’দিন ধরে হোটেলে প্রায় বন্দি হয়ে পড়েছিলেন পর্যটকরা। সোমবার বৃষ্টির তোড় কমতেই দিঘার সমুদ্রসৈকতে ভিড় বাড়ালেন তাঁরা। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আগেই। ফলে সমুদ্রস্নান হয়ে ওঠেনি তঁদের।

Advertisement

নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তার জেরে বৃষ্টি চলছে দিঘাতেও। শনি এবং রবি প্রায় দিনভর বৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। রবিবার পূর্ণিমার কটাল ছিল। ফলে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস ছিল ব্যাপক। সোমবারও দেখা যায় সেই একই ছবি। বৃষ্টির জেরে জল জমে যায় নিচু এলাকাগুলিতে। তবে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কিছুটা কম ছিল। ঢেউ গার্ডওয়াল টপকাতে পারেনি। বেলা বাড়তেই অবশ্য ভিন্ন ছবি দেখা যায় দিঘায়। কিছুটা কমে যায় বৃষ্টির দাপট। সেই সময় সমুদ্রতটে ভিড় জমান পর্যটকরা। দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস লাগামছাড়া ভিড় থাকলেও, এই সপ্তাহে পর্যটকের চাপ কিছুটা কম দিঘায়।

ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে এবং উত্তাল ঢেউয়ে স্নান করতে নামলে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশাসনের তরফে সোমবারও পর্যটকদের নিষেধ করা হয়েছে সমুদ্রে নামতে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর-সহ সর্বত্রই সমুদ্রস্নানে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নুলিয়া, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশকর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন সৈকত জুড়ে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বাঁধের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন