PMAY

আবাসের টাকায় পুকুর ভরাট করে দোকান তৈরি, পাঁশকুড়ায় অভিযুক্তকে নোটিস ধরাল পুরসভা

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রানিহাটি এলাকায় শেখ সালাউদ্দিনের এহেন কর্মকাণ্ডে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫২
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

অবৈধ উপায়ে পুকুর ভরাট করে সেই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় দোকানঘর বানিয়ে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রানিহাটি এলাকায় শেখ সালাউদ্দিনের এহেন কর্মকাণ্ডে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে। অবৈধ উপায়ে দোকানঘর বানাতে পুরসভার কাছ থেকে আবাস যোজনার নামে দফায় দফায় টাকা কী ভাবে মঞ্জুর হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা।

Advertisement

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই অবৈধ বাড়িটিকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্রের সাফাই, ‘‘স্থানীয় কাউন্সিলারেরাই আবাস যোজনার জন্য তালিকার সুপারিশ করেন। তাঁদের উপর আমাদের ভরসা রাখতে হয়। তবে অবৈধ উপায়ে দোকানঘর বানানোর অভিযোগ পেয়েই ওই ব্যক্তিকে নোটিস ধরানো হয়েছে। বাড়ি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তকে টাকা ফেরতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। না হলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সালাউদ্দিন আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তি। এর পরেও তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে পাঁশকুড়া পুরসভার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর তৈরির অনুমোদন পান। দফায় দফায় প্রায় ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তুলে দেওয়া হয়। সেই টাকায় ডোবা ভরিয়ে রানিহাটিতে রাস্তার ধারে একটি বড়সড় দোকানঘর তৈরি করেন সালাউদ্দিন। সেই দোকানঘরের দেওয়ালেই আবার ঘটা করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বোর্ড সেঁটে রাখা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ বাবু আলি বলেন, ‘‘ওই ডোবাটি অবৈধ উপায়ে ভরাট করে সেখানে আবাস যোজনার টাকায় দোকানঘর তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে আমি প্রশাসনের সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানাই। একজন স্বচ্ছ্বল ব্যক্তি হয়েও কী ভাবে আবাস যোজনায় ঘর তৈরির অনুমোদন পান, তা নিয়েও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত দোকানঘরটি বহালতবিয়তে রয়েছে।”

এই বিষয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের মন্তব্য, ‘‘পুরসভার তরফে নোটিস পেয়েছি। প্রশাসনের তরফে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা পালন করব।” তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি না জেনে বুঝে এই কাজ করে ফেলেছি। তাই পুরসভা যে ভাবে বলবেন, সে ভাবেই আমি কাজ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন