Tiger In Jhargram

বেলপাহাড়িতে বাঘের ভয়, বন্ধ রাখতে হল বাগডোবা প্রাথমিক স্কুল, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা

বাঘের আতঙ্কে সোমবার বন্ধ রাখতে হল বেলপাহাড়ির বাগডোবা প্রাথমিক স্কুল। স্কুলে পাঁচিল না-থাকার কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, গ্রামবাসীরাও বাঘের আতঙ্কে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:১৪
Share:

ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে ফের বাঘের আতঙ্ক। —নিজস্ব চিত্র।

বাঘিনি জ়িনতের রেশ কাটতে না-কাটতেই ফের ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে বাঘের আতঙ্ক। বাঘের আতঙ্কে সোমবার বন্ধ রাখতে হল বেলপাহাড়ির বাগডোবা প্রাথমিক স্কুল। স্কুলে পাঁচিল না-থাকার কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, গ্রামবাসীরাও বাঘের আতঙ্কে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।

Advertisement

বিনপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ সিংহ সর্দার বলেন, “সবাই সাবধানে থাকবেন। বন দফতরের নির্দেশ মেনে চলবেন। আমরাও সমস্ত খবরাখবর রাখছি। গ্রামবাসীদের সময় মতন খবর দিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। আমলাশোল, কাঁকড়াঝোড় , ময়ূর ঝর্না, মুনিয়াদিহি, বাগডোবা-সহ একাধিক গ্রামে বন দফতরের তরফ থেকে মাইক প্রচার করে সতর্ক করা হচ্ছে। বাঘের আতঙ্কের জন্য সোমবার বাগডোবা প্রাইমারি স্কুল বন্ধ ছিল।”

ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, “বন দফতর যখন যেমন সাহায্য চাইছে তেমন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাদীদের সতর্ক করার জন্য মাইক প্রচারের সহযোগিতা চেয়েছেন।”

Advertisement

ঠিক এক মাস আগেই বেলপাহাড়ির জঙ্গলে ছিল বাঘিনি জ়িনত। এ বার বেলপাহাড়িতে। রবিবার সকালে বেলপাহাড়ির মনিয়ারডি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে গ্রামের বেশ কয়েক জন গিয়েছিলেন লাল পিঁপড়ে সংগ্রহ করতে। তাঁদের দাবি, সেই সময় জঙ্গলের রাস্তায় দেখা যায় একাধিক অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম।

রবিবার সন্ধ্যায় ডিএফও নিশ্চিত করেন ওটা বাঘের পায়ের ছাপ। তার পর থেকেই সারা এলাকা জুড়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে মাইক প্রচার করে সতর্ক করা হয়। শুরু হয় বন দফতরের কর্মীদের টহল। রবিবার ঝাড়গ্রামের ডিএফও জানিয়েছিলেন, জঙ্গল-সহ একাধিক জায়গায় লাগানো হয়েছে ৫টি ট্র্যাপ ক্যামেরা ও ৩ টি এআই ক্যামেরা। সোমবার সকালে বাগডোবা গ্রামে মাইক প্রচার করে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, “কোনও গ্রামবাসী জঙ্গলে পাতা, কাঠ সংগ্রহ করতে যাবেন না, এলাকায় বাঘ রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement