কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চন্দ্রকোনা শহরে। বুধবার সন্ধ্যায় গোবিন্দপুর এলাকার ঘটনা। রাজু সিংহ ও মন্টু দাস নামে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা শহরেরই বাসিন্দা এবং চন্দ্রকোনা পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মী। বৃহস্পতিবার ঘাটাল আদালতের বিচারক তাদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনা শহরেরই বাসিন্দা ওই কিশোরী ও তার দুই বোন সুরেরহাট থেকে ফিরছিল। গোবিন্দপুরের কাছে দুই যুবক বছর ষোলোর ওই কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় একটি পরিত্যক্ত মাটির ঘরে। তার দুই বোন জানিয়েছে, সে সময় আশপাশে কেউ ছিলেন না। তাদের চিৎকার শুনেও কেউ আসেননি। বাধ্য হয়েই তারা বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই নাবালিকাকে। তাকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালেই মেয়েটির সঙ্গে কথাও বলে অভিযুক্তদের নাম জানতে পারে পুলিশ। রাতে নির্যাতিতার বাবা চন্দ্রকোনা থানায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তার পরেই স্থানীয় লালবাজার এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তরে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি পকসো (শিশুদের উপর যৌন নিযার্তন) আইনেও
মামলা হয়েছে।
ঘটনার জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, চন্দ্রকোনা শহর জুড়ে বহু পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। নজরদারির অভাবে সেগুলি নানা রকম অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠেছে। শহরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। যদিও চন্দ্রকোনা পুলিশের আশ্বাস, সন্ধ্যার পরই গোটা শহরেই পুলিশি টহল চলে। উদ্বেগের কিছু নেই।