দলবিরোধী কাজ, সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা

দল বিরোধী কাজের জন্য ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ায় দলের এক নেতাকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, মাস খানেক আগে জয়ন্ত রায় নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। জয়ন্তবাবু ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। দলীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ জুন জয়ন্তবাবুকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৫ ০১:৫৪
Share:

দল বিরোধী কাজের জন্য ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ায় দলের এক নেতাকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, মাস খানেক আগে জয়ন্ত রায় নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। জয়ন্তবাবু ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। দলীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ১ জুন জয়ন্তবাবুকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম ব্লক সভাপতি অনিল মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের জেলা কমিটির অনুমোদনের ভিত্তিতে জয়ন্তবাবুর বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী তিন বছর তিনি দলের কোনও কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।’’ দলের ঝাড়গ্রাম ব্লক কমিটির সদস্য পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জয়ন্তবাবুকে। তবে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থাকছেন। কারণ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়াটি জটিল।

তৃণমূল সূত্রের খবর, জয়ন্তবাবুকে চিঠি দিয়ে দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন অনিলবাবু। তবে এলাকায় তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম ব্লক সভাপতি অনিল মণ্ডলের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র রেষারেষি। জয়ন্তবাবু তপন-গোষ্ঠীর লোক। ফলে, জয়ন্তবাবুকে সাসপেন্ড করে তপন-গোষ্ঠীকে বার্তা দিতে চাইছে দল।

Advertisement

মাস খানেক আগে মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনের দিনে জয়ন্তবাবু নাকি অন্তর্ঘাত করেছিলেন। গত এপ্রিলে তৎকালীন প্রধান মৌমিতা মাহাতো ইস্তফা দেন। সে সময় দল চন্দনা মাহাতোকে প্রধান পদের জন্য মনোনয়ন দেয়। মূলত অনিলবাবুই উদ্যোগী হয়েছিলেন এ বিষয়ে। কিন্তু ভোটের দিন এক পঞ্চায়েত সদস্য পুষ্পবালা মাহাতো নামে অন্য এক তৃণমূল সদস্যার নাম প্রস্তাব করেন। ফেল ভোটাভুটি অনিবার্য হয়ে পড়ে। যদিও সে ভোটাভুটিতে জিততে পারেননি পুষ্পবালাদেবী।

অভিযোগ ওঠে জয়ন্তবাবুই দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত করে ভোটাভুটি করিয়েছেন। দলীয়স্তরে অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূলের জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করেন ব্লক নেতৃত্ব। ১ জুন জয়ন্তবাবুকে সাসপেনশনের চিঠি পাঠান তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “কেউ যদি মনে করেন দলে থেকে দলের ক্ষতি করবেন, এই ঘটনা থেকে তাঁরা নিশ্চয়ই শিক্ষা নেবেন।”

জয়ন্তবাবু অবশ্য সাসপেন্ডের প্রসঙ্গে কার্যত নিরুত্তর। তাঁর জবাব, “দলের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। সাধারণ মানুষের পাশে আছি, আগামী দিনেও থাকব। তবে, এলাকার সঠিক উন্নয়ন হচ্ছে না। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করাটা হয়তো আমার অন্যায় হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন