লালগড়ে পূর্তে আদিবাসী মুখ!

স্থায়ী সমিতি গঠন তো হল। কিন্তু আদিবাসী অধ্যুষিত লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কে হবেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগড় শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০১:১৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

স্থায়ী সমিতি গঠন তো হল। কিন্তু আদিবাসী অধ্যুষিত লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কে হবেন? তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই পদ নিয়েই ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নন। তাই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদে ‘আদিবাসী মুখ’ চাইছেন ব্লক নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন ব্রজেন মান্ডি এবং বিবিরানি মুর্মু। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা গোষ্ঠীর লোকজন চাইছেন রিন্টু বিশ্বাসকে কর্মাধ্যক্ষ করা হোক। সূত্রের খবর, এ নিয়ে মনোমালিন্য ক্রমশ বাড়ছে। পরিস্থিতি যা তাতে ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানোর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। যদিও প্রকাশ্যে কেউ দ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি। তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো বলছেন, “আমি কোনও অস্বচ্ছ কাজ করিনি। এখানে চাপিয়ে দেওয়ার কোনও বিষয় নেই।” সুকুমার বলছেন, “আলোচনা করে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ঠিক করা হবে। এ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”

পঞ্চায়েত ভোটে তুলনায় খারাপ ফলের পর একাধিক ব্লক নেতৃত্ব পরিবর্তন করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লালগড়ের ক্ষেত্রে বনবিহারী রায়ের জায়গায় নিয়ে আসা হয় একসময়ে জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত শ্যামলকে। লালগড়ের অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি থেকে ব্লক স্তরের নেতৃত্বে শ্যামলের এই উত্থানে হতবাক হয়েছিলেন দলের অনেকেই। যদিও শাসক দলের অন্দরের খবর, শীর্ষনেতৃত্বের ‘পছন্দের’ হওয়ায় এই নির্বাচন।

Advertisement

শাসক দলের একাংশ মানছেন, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদটি ‘নানা কারণে’ গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির ৯ টি স্থায়ী সমিতি গঠন করা হয়েছে। পূর্তকার্য ও পরিবহণ স্থায়ী সমিতির পাঁচ জন সদস্য হয়েছেন ব্রজেন মাণ্ডি, চঞ্চল মাহাতো, প্রতাপ রায়, বিবিরানি মুর্মু ও রিন্টু বিশ্বাস। এর মধ্যে চঞ্চল পঞ্চায়েত সমিতির গত বারের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। স্থায়ী সমিতি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের মধ্যে বিবাদের পারদ চড়ছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ নিয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতির সঙ্গে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বাদানুবাদও হয়েছে।

পূর্ত নিয়ে বিবাদে সামনে আনা হচ্ছে ‘আদিবাসী ক্ষত’কে। আপাতত শীর্ষনেতৃত্বের হস্তক্ষেপের আশায় দু’পক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন