জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে মেদিনীপুরে আসছেন অভিষেক ও শুভেন্দু। মেদিনীপুর শহরে তারই হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র
জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে মেদিনীপুরে ‘তারকা’ সমাবেশ! আসছেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট-বড় পর্দার বেশ কয়েকজন শিল্পীরও আসার কথা কয়েকটি পুজোয়। প্রস্তুতি তুঙ্গে।
দুর্গাপুজোর পরে জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে আনন্দে মাততে চলেছে মেদিনীপুর। পুজোর উদ্বোধন শুরু কাল, বুধবার থেকেই। সেই শুক্রবার পর্যন্ত চলবে উদ্বোধনপর্ব। পুজো উদ্বোধনে শহরে শুভেন্দুর আসা নতুন নয়। বারেবারে এসেছেন। তবে অভিষেকের আসা এই প্রথম। শহরে তোরণ হয়েছে। সেখানে জ্বলজ্বল করছে লেখাটা, ‘জেলায় সর্বপ্রথম পুজোয় পদার্পণ। উদ্বোধক-যুব সমাজের নয়নের মণি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’
বুধবারই শহরে আসছেন সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অভিষেক। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরে এসে দু’টি পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি। সন্ধ্যার মুখে শহরে পৌঁছে শুরুতে যাবেন সিপাইবাজারে। এখানে ‘খ্রিস্টান-হিন্দু-মহামেডান অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে পুজো হয়। পুজোর হোতা স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী। এই পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে এখান থেকে যাবেন হবিবপুরে। হবিবপুর সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোরও উদ্বোধন করবেন অভিষেক। এই পুজোর হোতা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি।
ইতিমধ্যে অভিষেকের ছবিতে সাজতে শুরু করেছে শহর! কোথাও থাকবে ফ্লেক্স। কোথাও হোর্ডিংও। কেন এমন নির্দেশ? অভিষেক তো পুজোর উদ্বোধনে আসছেন? যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, ‘‘কর্মীরা ওঁকে স্বাগত জানিয়েই ওই ফ্লেক্স দিচ্ছেন!’’
বুধবার রাতে শহর ছাড়বেন অভিষেক। শুক্রবার সন্ধ্যার মুখে শহরে পৌঁছবেন মন্ত্রী তথা যুব তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে চারটি পুজোয় যাবেন তিনি। শুরুতে ঠিক ছিল, তিনটি পুজোয় যাবেন। গত শনিবার শহরে এসেছিলেন শুভেন্দু। বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের এক বৈঠকে যোগ দিতে। সকলেই নিজ নিজ পুজোর আমন্ত্রণ জানাতে ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় করেন উদ্যোক্তারা। এর মধ্যে একটি আবেদনে সাড়া দেন মন্ত্রী। অন্যদের শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তী সময় সুযোগ পেলে তিনি নিশ্চয়ই আসবেন। শুক্রবার কর্ণেলগোলায় ‘নবীন-প্রবীণ’-এর পুজোর উদ্বোধন করবেন শুভেন্দু। আবাস-সহ আরও দুই এলাকায় যাবেন। শহরতলির খয়েরুল্লাচকের নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোতেও যাবেন তিনি। এখানে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন।