অন্যতম সহ-সভাপতি শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় জোর গলাতেই বলছেন, “কংগ্রেস মানুষ নির্ভর দল। কংগ্রেস হারিয়ে যায় না। মেদিনীপুরেও হারাবে না।” সবংয়ের কংগ্রেস নেতা চিরঞ্জীব ভৌমিকেরও দাবি, ‘‘দলবদলে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি।”
সোমবারই কংগ্রেস ছেড়েছেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। সবং তো বটেই, এত দিন পশ্চিম মেদিনীপুর কংগ্রেসেও মানসবাবুর কথাই ছিল শেষ কথা। মানস-বিরোধী ও মানস-অনুগামীদের বিরোধ থাকলেও তা দানা বাঁধেনি। মানসবাবু দল ছাড়ায় বিরোধীরা স্বস্তিতে। জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অনিল শিকারিয়া সরাসরিই বলছেন, “এতদিনে আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম!” তবে জেলার অনেক কংগ্রেস নেতাই স্বীকার করছেন, মানসবাবু চলে যাওয়ায় দল অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল।
এই পরিস্থিতিতে অধীর চৌধুরীর সামনে দলের ঐক্যবদ্ধ ছবিটা তুলে ধরতে মরিয়া জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার সব ব্লকের নেতৃত্বকে সভায় ডাকা হয়েছে। থাকবেন দলের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বও। অধীরের সভার প্রস্তুতি মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে আলোচনা হয়। মঞ্চ বাঁধার কাজ কতদূর এগিয়েছে খতিয়ে দেখেন জেলা নেতারা।