বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ কন্যাশ্রীদের

আত্মরক্ষায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে কন্যাশ্রীর প়ড়ুয়াদের নিয়ে। আয়োজন করা হয়েছে ফুটবল প্রতিযোগিতারও। এ বার বিপর্যয় মোকাবিলায় উদ্ধার ও জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০৭:১০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এ বার ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের তালিকাভুক্ত ছাত্রীদের বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণও দিতে চাইছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। আজ, সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই কর্মসূচি। প্রথম স্কুল হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে সদর শহর তমলুকের তাম্রলিপ্ত বালিকা বিদ্যাপীঠকে। তার আগে জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার পাশাপাশি এলাকার বিপন্ন মানুষদের সাহায্য করার জন্য ছাত্রীদের উৎসাহিত করা হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংঠনের প্রশিক্ষকরা জেলার স্কুল-কলেজগুলিতে এই প্রশিক্ষণ দেবে।’’

Advertisement

এর আগে আত্মরক্ষায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে কন্যাশ্রীর প়ড়ুয়াদের নিয়ে। আয়োজন করা হয়েছে ফুটবল প্রতিযোগিতারও। এ বার বিপর্যয় মোকাবিলায় উদ্ধার ও জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের মেয়েদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণি ও কলেজ পড়ুয়া কন্যাশ্রীদের বাছাই করে নিয়ে চলবে তিনদিনের কর্মসূচি।

উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরের একটি বড় অংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নতুন কোনও ঘটনা নয়। সমুদ্রতীরবর্তী কাঁথি, এগরা, হলদিয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকা এ ছাড়াও পাঁশকুড়া, কোলাঘাট ও তমলুকের একাংশও বন্যাপ্রবণ। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কর্মিবাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধার কাজে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজে পড়ুয়াদের লাগানোর কথা ভাবছে প্রশাসন।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে মোট প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ছাত্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে ‘কে-১’-এ প্রায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার ও কে-২ প্রায় ১৮ হাজার ছাত্রী রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কে-২ অন্তর্ভুক্ত কন্যাশ্রীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক ও তমলুকের উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিপন্নদের উদ্ধার করা, প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে-হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় সাহায্য করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তা ছাড়াও সর্পদষ্টদের কুসংস্কারের থেকে রক্ষা করতেও সচেতনতা প্রচার করবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কন্যাশ্রীরা।’’

তাম্রলিপ্ত বালিকা বিদ্যাপীঠের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মোট ৮৮ জন ‘কন্যাশ্রী’কে বাছাই করা হয়েছে প্রথম পর্যায়েপ প্রশিক্ষণের জন্য। জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বুলুরানি লাহা। তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। বিপন্ন মানুষদের সাহায্য করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সমাজসেবার মনোভাবও তৈরি হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন