শস্যবিমার টাকা মেটাবে প্রশাসন, আশ্বাস কৃষিমন্ত্রীর

শস্য বিমার জন্য প্রতি মাসের প্রদেয় প্রিমিয়াম আর চাষিকে জমা দিতে হবে না। চাষির হয়ে রাজ্য সরকারই কেন্দ্রীয় বিমা সংস্থাকে প্রিমিয়ায়ের টাকা দেবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গিধনি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:১৪
Share:

শস্য বিমার জন্য প্রতি মাসের প্রদেয় প্রিমিয়াম আর চাষিকে জমা দিতে হবে না। চাষির হয়ে রাজ্য সরকারই কেন্দ্রীয় বিমা সংস্থাকে প্রিমিয়ায়ের টাকা দেবে। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি ব্লকের গিধনিতে ব্লক কৃষি মেলার উদ্বোধন করে একথা জানান রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। কৃষিমন্ত্রীর দাবি, অন্য কোনও রাজ্যে শস্যবিমায় চাষির অংশের প্রিমিয়াম সরকারি ভাবে জমা দেওয়া হয় না। সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই এ ক্ষেত্রে পথিকৃত্‌! সেই সঙ্গে পূর্ণেন্দুবাবু জানিয়ে দেন, চাষিদের সুবিধার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কৃষিযন্ত্র ভাড়া কেন্দ্র চালু করছে রাজ্য সরকার। যাতে চাষিরা বড় কৃষিযন্ত্র চাষের কাজে ভাড়া নিতে পারেন। বিধানসভা ভোটের আগে কৃষিমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে জঙ্গলমহলে। এ দিন জামবনির ব্লক সদর গিধনির স্পোর্টিং ময়দানে ব্লক কৃষি দফতরের উদ্যোগে মাটি, কৃষি, মত্‌স্য, উদ্যানপালন ও প্রাণিসম্পদ মেলার সূচনা হয়। দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন পূর্ণেন্দুবাবু। ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, রাজ্যের কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য, জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা নিমাই রায় প্রমুখ।

Advertisement

কৃষিমন্ত্রী বলেন, “শস্যবিমার ক্ষেত্রে আগে আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি কাজ করছিল। কিন্তু শস্যবিমা করার পরও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছিলেন না বলে চাষিরা বারে বারেই অভিযোগ করছিলেন। আমরা এ বছর থেকে চাষিদের কেন্দ্রীয় সরকারি বিমা সংস্থার মাধ্যমে শস্যবিমা করতে বলছি। যত তাড়াতাড়ি বিমা করাতে পারবেন। অসময়ে ক্ষতিপূরণ পাবেন। চাষির প্রদেয় প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার দেবে। আর কোনও রাজ্যে এমন প্রিমিয়াম প্রদানের ব্যবস্থা নেই।” পূর্ণেন্দুবাবু জানান, সর্বাধিক পাঁচ হাজার টাকা দামের কৃষি সহায়ক যন্ত্র রাজ্য সরকার বিনামূল্য চাষিদের দিয়ে থাকে। ইতিমধ্যে এরকম দু’লক্ষ কৃষিযন্ত্র চাষিদের বিলি করা হয়েছে। পাশাপাশি, লক্ষাধিক টাকার বড় কৃষিযন্ত্র যাতে সুলভ দামে ভাড়া নিয়ে চাষিরা চাষের কাজ করতে পারেন, সেজন্য জঙ্গলমহলে কৃষিযন্ত্র ভাড়া কেন্দ্র বা কাস্টমস হায়ারিং সেন্টার চালু হবে। রাজ্যে এরকম ৮৫টা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। আরও হবে।

মন্ত্রীর অভিযোগ, “বহু চাষি ব্যাঙ্কে টাকা গচ্ছিত রাখেন। অথচ ব্যাঙ্কগুলি কপোরেট সংস্থাকে কোটি কোটি টাকা ঋণ দিলেও চাষিদের দেয় না। রাজ্যে ৯৬ ভাগ চাষির হাতে কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলেও সিংহভাগ চাষি ব্যাঙ্ক থেকে কৃষিঋণ পান নি।” জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “জঙ্গলমহলের ঊষর মাটিতে আমরা সবুজের জয়গান গাইব। যে পথে এগোচ্ছি, তাতে কিছুদের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে আদর্শগ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন