Haldia

গ্যাসে বিপদ না হয়, চিঠি কারখানাকে

বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শিল্পতালুকের অধিকাংশ কারখানায় চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন হলদিয়ার ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ০১:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিশাখাপত্তনামে কারখানার বিষ গ্যাসে দুর্ঘটনার পরে সতর্ক রাজ্যের প্রশাসনও। গ্যাস মজুত রয়েছে, এমন কারখানার পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও সুরক্ষার বন্দোবস্ত করতে জারি হয়েছে সতর্কতা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শিল্পতালুকের অধিকাংশ কারখানায় চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন হলদিয়ার ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর। বিশাখাপত্তনামের পুনরাবৃত্তি যাতে কোনওভাবে না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে। এ দিন ১৫টি সংস্থাকে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। মূলত নিমপুরা শিল্পতালুকের মেটালিক্স কারখানাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে সুরক্ষার সুবন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকের কয়েকটি কারখানাকেও সতর্ক করা হয়েছে। লকডাউনে যে কারখানাগুলিতে কম সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে কাজ চলছে বা কারখানা বন্ধ রয়েছে সেখানে গ্যাস চেম্বার রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে জেলার শ্রম দফতরেও। এক্ষেত্রে ওই কারখানার শ্রমিকদের সুরক্ষাও যাতে বিঘ্নিত না হয় সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে থাকা হলদিয়ার ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর দেবায়ন দে বলেন, “লকডাউনের সময়ে কারখানায় শ্রমিক কম ও কারখানা বন্ধ থাকায় সতর্ক হতে হবে। বিশাখাপত্তনমের ঘটনা যাতে এখানে কোনওভাবে না হয় তাই আমরা কারখানাগুলিকে সতর্ক করছি। খড়্গপুরের যে কারখানাগুলিতে গ্যাস মজুত থাকে সেগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।”

Advertisement

এই মুহূর্তে খড়্গপুর শিল্পতালুকে কয়েকটি কারখানায় সামান্য শ্রমিক দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। কয়েকটি কারখানা বন্ধ। অথচ সেখানে মজুত রয়েছে বিষাক্ত গ্যাস। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গ্যাস লিক করে যে বিপত্তি হতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে বিশাখাপত্তনামের ঘটনা। তাই যেখানে গ্যাস স্টোরেজ রয়েছে, সেখানে ভাল্ব নিয়মিত পরীক্ষা, স্টোরেজ ট্যাঙ্ক রক্ষণাবেক্ষণ, শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা বর্ম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। খড়্গপুরের নিমপুরা শিল্পতালুকের একটি মেটালিক্স কারখানার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ রায় বলেন, “আমরা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করেছি। এখন কারখানায় উৎপাদন চলছে। তাছাড়া আমাদের গ্যাস স্টোরেজ থাকে না। যেটুকু আসে তা ব্যবহার হয়ে যায়। তাও সুরক্ষায় যথেষ্ট নজর দিচ্ছি।”

জেলার উপ-শ্রম কমিশনার বিতান দে বলেন, “আমি ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টরের ওই চিঠির প্রতিলিপি পেয়েছি। মহকুমাশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন