আট বছর পর সরছে জ্ঞানেশ্বরীর কঙ্কাল

আট বছর আগে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙাচোরা কামরাগুলি গত শনিবার থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। টেন্ডার ডেকে একটি সংস্থাকে ভাঙাচোরা কামরা ও দু’টি ইঞ্জিন বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সরডিহা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ০১:৫৫
Share:

সরডিহার রাজাবাঁধে সরানো হচ্ছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের কামরা। নিজস্ব চিত্র

অবশেষে সরডিহায় রাজাবাঁধে রেল লাইনের ধার থেকে সরছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের ভগ্নাবশেষ।

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, আট বছর আগে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙাচোরা কামরাগুলি গত শনিবার থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। টেন্ডার ডেকে একটি সংস্থাকে ভাঙাচোরা কামরা ও দু’টি ইঞ্জিন বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরা রেখে দেওয়া হয়। খড়্গপুরের সিনিয়র ডিভিশনাল কর্মাশিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলেন, ‘‘তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন টাটা খড়্গপুর শাখার ওই রেল পথে থার্ড লাইন বসবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সঙ্কেত মেলায় টেন্ডার ডেকে ভাঙাচোরা কামরা ও ইঞ্জিন সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।”

২০১০ সালের ২৮ মে গভীর রাতে সরডিহার রাজাবাঁধে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে ধাক্কা মারে ডাউন লাইনে আসা একটি মালগাড়িকে।

Advertisement

দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় দেড়শো যাত্রী। আহতও হন অনেকে। জ্ঞানেশ্বরীর চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তভার নেয় সিবিআই। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন ২০ জন। মামলাটি মেদিনীপুরের বিশেষ আদালতে বিচারাধীন।

কেটে গিয়েছে আট বছর। কিন্তু রেল লাইনের ধারে কামরা ও ইঞ্জিনের কঙ্কালগুলি দুর্ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিত ট্রেনযাত্রীদের। এ বার পিছু ছাড়বে সেই স্মৃতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন