আবার নৌকায় যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।
খারাপ হচ্ছে জলমগ্ন ঘাটালের পরিস্থিতি। টানা বৃষ্টি এবং ডিভিসি-র জলে ভাসল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ। আবার ঘাটালের স্থলপথে শুরু হল নৌকা চলাচল। সোমবার লক্ষ্মীপুজোর দিন বাজার থেকে পুজোর বাজার থেকে প্রতিমা কিনে নৌকা চেপে বাড়ি ফিরলেন স্থানীয়েরা। যদিও ঘাটাল পুরসভা এলাকাকে এখনই ‘বন্যা কবলিত’ বলতে নারাজ প্রশাসন।
চলতি বছরে মোট পাঁচ বার বন্যা হয়ে গিয়েছে ঘাটালে। ২০ জুন, ৫ জুলাই, ১১ জুলাই, ২ অগস্ট এবং ২৩ অগস্ট। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ যখন দুর্যোগের কবলে পড়ছে, সেই একই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের এই অংশটি আবার ভেসেছে। জলমগ্ন ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা, ঘাটাল পুরসভার ১২টি ওয়ার্ড। আড়গোড়া চাতালেও জল চলে এসেছে। ঘাটাল পুরসভার দাবি, এলাকায় জল ঢুকলেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে জল বাড়লে প্রশাসনের তরফে নৌকা নামানো হবে। অন্য দিকে, চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের মানিকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকা এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে।
রবিবার রাতে ঘাটাল প্রশাসসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর নির্দেশ মেনে সেচ ও জলপথ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদার কর্মীরা রাত জেগে ঘাটাল এলাকায় বাঁধ পাহারা দেন। ঘাটালে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় রয়েছে শীলাবতী, ঝুমি, রূপনারায়ণ, ওল্ড কাঁসাই নদীর উপর বাঁধ। হাতে টর্চ নিয়ে সেগুলোতে রাতপাহারা দেন কর্মীরা।
তবে ঘাটাল শহরের নিচু এলাকাগুলিতেও জল ঢুকেছে। শিলাবতীর জল বিপদ সীমার থেকে কিছুটা নেমেছে। তবে রূপনারায়ণ নদীতে জল বাড়ছে।
ঘাটাল থানার তরফে থেকে কমিউনিটি কিচেন তৈরি হয়েছে। মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘নদীতে জল বাড়ছে। যার কারণে পুরসভা এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে।’’ তবে মহকুমা শাসকের দাবি, ‘‘শিলাবতীর জলস্তর কিছুটা কমেছে। ঘাটাল ব্লক ও পুরসভা এলাকায় ২০টি এবং চন্দ্রকোনা ব্লকে ১২টি নৌকা নামানো হয়েছে। তা ছাড়া ব্যক্তিগত নৌকায় মানুষ যাতায়াত করছেন। ৫টি মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। তা ছাড়া ৫৮টি মেডিক্যাল টিম গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন।’’