মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করে মার খেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তারপর থেকে শুরু হয়েছে গোলমাল। বুধবার চণ্ডীপুর থানার নন্দপুর গ্রামের দিঘিরপাড় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি খড়ের চালায়।
ঘটনার সূত্রপাত ১১ জুন। স্থানীয় একটি ক্লাবে মনসাপুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে মদ্যপান করে নাচানাচি করছিলেন গুরুপদ মাইতি। কয়েকজন বাসিন্দা তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অমরেন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, পরের দিন দুপুরে অমরেন্দ্রবাবুর বা়ড়িতে চড়াও হন গুরুপদর ভাই রবীন মাইতি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। মারধর করা হয় অমরেন্দ্রবাবুকে।
১৭ জুন গ্রামে সালিশি ডাকা হয়েছিল। কিন্তু গুরুপদ বা তার পরিবারের লোকেরা সেখানে হাজির হননি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়রা চণ্ডীপুর থানায় গুরুপদর ও তাঁর পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। সন্ধ্যায় গুরুপদর ভাই প্রসেনজিৎ ও ভাইপো কার্ত্তিক মাইতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, বুধবার গুরুপদর বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা।
যদিও নন্দপুরের বাসিন্দা মলয় দাস, জয়দেব জানাদের দাবি, ‘‘কেউ গুরুপদর বাড়িতে ভাঙচুর করেনি। বরং গ্রামবাসীদের ফাঁসাতে ওরা নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ বুধবার অবশ্য রবীন মাইতি দাবি করেছেন, ‘‘১১জুন অনুষ্ঠানের সময় আমার দাদার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিয়েছিল কয়েকজন। পরদিন আমি ওই টাকা চাইতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়ছিল।’’ চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, গুরুপদ মাইতি ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মদ খেয়ে অসভ্যতা করার অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু আইন মাফিক জামিনও পেয়ে যান। তবে গুরুপদর বাড়িতে ভাঙচুর বা আগুন লাগানোর বিষয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি।