ডেঙ্গি অভিযানে ক্ষোভ
Dengue

সাফাইয়ে গতি নেই খড়্গপুরে

গত তিনমাস ধরে শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সারা জেলার ১৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ১২০ জনই খড়্গপুরের বাসিন্দা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর সাফাই অভিযানে জোর দিয়েছিল। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল পুরসভার বিশেষ অভিযান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৫০
Share:

অস্বাস্থ্যকর: ঝাপেটাপুরে রেল আবাসনের সামনে জঞ্জাল ও জমা জল। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

ডেঙ্গি মোকাবিলায় সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছিল রেলশহরে। গোড়ায় কাজে বেশ গতিও ছিল। কিন্তু তারপরে ফের সেই ঢিলেঢালা ভাব। আর অভিযান শেষ হতে খড়্গপুরের পথ জুড়ে আবারও আবর্জনা, নর্দমা সাফাই হচ্ছে না, মশা নিধনের তেল ও ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

গত তিনমাস ধরে শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সারা জেলার ১৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ১২০ জনই খড়্গপুরের বাসিন্দা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর সাফাই অভিযানে জোর দিয়েছিল। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল পুরসভার বিশেষ অভিযান। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ জন করে বাড়তি শ্রমিক নিযুক্ত করে চলছিল সাফাই। সঙ্গে চলেছে মশা মারার তেল ও ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ। কিন্তু পরে আর কাজ এগোয়নি বলেই অভিযোগ

নিমপুরা, নিউ সেটলমেন্ট, সুভাষপল্লি, সাউথ ইন্দা, ডেভেলপমেন্ট, মালঞ্চ, ভবানীপুর, কৌশল্যার মতো যে সব এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সেখানেও সাফাই যথাযথ ভাবে হচ্ছে না। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নিমপুরায় ডেঙ্গিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। মৃত মহিলার পড়শি ভারতী কাঞ্জিলাল বলছিলেন, “আমাদের এলাকায় দিন দশেক আগে শেষ ব্লিচিং দেওয়া হয়েছিল। তারপর আর কোনও বিশেষ কর্মসূচি পড়েনি।” যদিও ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সরিতা ঝা-র দাবি, “আমার এলাকায় নিয়মিত সাফাই অভিযান হচ্ছে। আর রোজ তো ব্লিচিং দেওয়া সম্ভব নয়।”

Advertisement

কাউন্সিলররা যাই দাবি করুন, সাফাই নিয়ে পুরসভার ভূমিকায় শহর জুড়েই ক্ষোভের ছবি। ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দার বাসিন্দা অধ্যাপক সোমালি নন্দীর কথায়, “কয়েকদিন আগে একবার ধোঁয়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মশা মারার তেল, ব্লিচিং দেওয়া হয়নি।” ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া সেনেরও বক্তব্য, “বহুদিন আগে একবার ব্লিচিং দিয়েছিল।” মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বুলবুলচটির বাসিন্দারাও। পাড়ায়-পাড়ায় এমন ক্ষোভ থাকলেও অভিযোগ মানতে নারাজ পুরসভা। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের দাবি, “শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত অভিযান চলছে। রেলের ওয়ার্ডেও বিশেষ অভিযান চালিয়ে সব আবর্জনা পরিষ্কার করেছিলাম। পরে আবার আবর্জনা জমেছে।’’ তাঁর মতে, বিরোধীরা এ সব মিথ্যা অভিযোগ তুলে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাকে বদনাম করতে চাইছে। পুরপ্রধান আরও জানান, ‘‘আজ, সোমবার থেকে ফের বিশেষ অভিযান হবে খড়্গপুরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন