প্রতীকী চিত্র।
রাজনৈতিক সন্ত্রাসে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভগবানপুর। ফের এক বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করলো। শুক্রবার রাতে মহম্মদপুর-১ পঞ্চায়েতের পশ্চিমবাড় যে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে, তা এক সময় ভেড়ি কাণ্ডে নিহত তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের ‘তালুক’ বলে পরিচিত ছিল।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবাড়ে একাধিক বিজেপি সমর্থকদের দোকান ভাঙচুর ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার রেশ কাটার আগেই শুক্রবার রাতে পশ্চিমবাড়ের বাসিন্দা সঞ্জয় রাউত নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। একটি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ, বাধা দিলে সঞ্জয়কে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে একটি জঙ্গলে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা আহতকে উদ্ধার করে রাতে ভগবানপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ভেড়ি কাণ্ডে নান্টু জনরোষে খুন হওয়ার পরে মহম্মদপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। এখন সেখানে বিজেপি দাপট রয়েছে। বিধানসভা ভোটেও পশ্চিমবাড়ে তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি। তবে ভোট পরবর্তী সময়ে বিজেপি কর্মীদেরই বাড়ি ও কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভগবানপুর-১ ব্লক পূর্ব মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি রমেশ মাইতি বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীদের উপরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই পরিকল্পত হামলা চালাচ্ছে। সঞ্জয়কে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়। এলাকাবাসী বেরিয়ে আসায় তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়।’’
শনিবার রাত পর্যন্ত ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ভগবানপুর থানা সূত্রের খবর, এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের না হলেও প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আর তাঁদের দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে ভগবানপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দাসের দাবি, ‘‘বিজেপি কর্মীকে মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’