Scam

বেনিয়ম, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ

খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও সমবায় সমিতি চুপচাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভূপতিনগর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০২:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের সমবায় আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য স্থান দুই মেদিনীপুরের। সমবায়ের মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার কথা বারবার শাসক দলের নেতা বিধায়কেরা বলেন। অথচ সমবায় সপ্তাহ চলাকালীন মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অধীন একটি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে সাধারণ সভায় তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণ না দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল। সংশ্লিষ্ট সমবায় কৃষি সমিতির সম্পাদকের বিরুদ্ধে মুগবেড়িয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ও এলাকার বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন সমিতির পরিচালন কমিটির এক সদস্য।

Advertisement

মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভগবানপুর-১ ব্লকের অন্তর্গত মির্জাপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি পরিচালনা নিয়ে আর্থিক তছরুপের লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির কয়েকজন সদস্য।

কী রয়েছে লিখিত অভিযোগে?

Advertisement

শাসকদল পরিচালিত ওই সমবায় সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৩ নভেম্বর। সভায় যে সব তথ্য পেশ করা হয় তার পক্ষে কোনও প্রামাণ্য নথি সমিতির সম্পাদক দেখাননি। একই সঙ্গে সমিতির পূর্বতন সম্পাদকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রেও সমবায় সমিতি চুপচাপ। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সমবায় সমিতির স্থায়ী ম্যানেজার নিয়োগ করা হচ্ছে না। পরিচালন কমিটির খরচ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ওই সমবায় সমিতি আর্থিক দিক থেকে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। অভিযোগকারীদের পক্ষে সমিতির পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য অমিয় মাইতি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে সমবায় সমিতি পিছিয়ে গিয়েছে। সমিতি পরিচালনার ক্ষেত্রে যে আপত্তি রয়েছে সে ব্যাপারে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’’

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমবায় সমিতির সম্পাদক অমল কুমার বাড়ই। তাঁর দাবি, ‘‘খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে পদ্ধতি মেনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তা ছাড়া প্রতি বছর নিয়মিত অডিট করা হয়। সেক্ষেত্রে অডিট রিপোর্টে কোনওরকম দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি। এ ধরনের অভিযোগ কে বা কারা করেছে সে ব্যাপারেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত জানায়নি।’’

মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দাবি, ‘‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানি না। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন